মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি

জাতীয়করণের অনুমতিপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির জন্য দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট খোলা চিঠিঃ

বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিষয়ঃজাতীয়করণের লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের পূর্বের ধারাবাহিকতায় ক্যাডারভূক্তকরণ প্রসঙ্গে

মহাত্মন,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে,একুশ শতকের চ্যালেন্জ মোকাবেলায় মহান স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,জাতির জনক,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্প্রতি আপনি উপজেলাভিত্তিক ২৮৫টি কলেজ জাতীয়করণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।উপজেলা ভিত্তিক কলেজগুলো জাতীয়করণ করার ঘোষণা দেওয়ায় জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত কলেজ শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
উপজেলাভিত্তিক কলেজগুলো সরকারীকরণের আওতায় আসায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা কম টাকায় তাঁদের পড়াশুনা সমাপ্ত করতে পারবে।আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হবে, শিক্ষকদের মর্যাদাও বৃদ্ধি পাবে।
তবে সম্প্রতি আমরা বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পেরেছি যে, এসমস্ত কলেজের শিক্ষকদের নন-ক্যাডার করে আত্তীকরণ বিধি-২০১৭ চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে,এটা পূর্বের ধারাবাহিকতার সম্পূর্ন বিপরীত, প্রায় ১৫০০০ শিক্ষক এসমস্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।প্রস্তাবিত নতুন এ বিধি বাস্তবায়িত হলে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের সাথে এ সকল শিক্ষকদের মর্যাদাগত দ্বন্দ্ব দেখা দিবে, দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাট বৈষম্য দেখা দিবে।মূলত,বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের সফলতাকে বিতর্কিত করার জন্য দেশে ঘাঁপটি মেরে থাকা সরকারবিরোধী চক্র এসকল কলেজের শিক্ষকদের ননক্যডার করার পাঁয়তারা করছে, আত্তীকরণ বিধি ১৯৮১,বিধি-২০০০ এ জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারে আত্তীকরণের ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশণা ও ব্যাখ্যা থাকার পরেও প্রস্তাবিত বিধি-২০১৭ তে এসকল শিক্ষকদের ননক্যাডার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে যা তাঁদের মর্যাদার দিক থেকে মানবাধিকার লংঘন, প্রস্তাবিত ২০১৭ বিধি চূড়ান্ত করা হলে তা শতশত মামলার মধ্যে পড়ে গিয়ে সমগ্র জাতীয়করণের প্রক্রিয়া হুমকির মধ্যে পড়ে যেতে পারে।
তাই পরিশেষে আমরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো সুন্দর ও ত্বরান্বিত করার জন্য অবিলম্বে এসমস্ত কলেজসমূহের জিও জারি ও এ সকল কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারে আত্তীকরণ সহ নিন্মোক্ত দাবী বাস্তবায়নে আপনার নিকট বিনীত অনুরোধ জানাই।
১) ডিড অফ গিফট হওয়া কলেজ সমূহের দ্রুত জিও ও গেজেট জারী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা

২) পূর্বের ন্যায় এমপিও, ননএমপিও, নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষককে পূর্বে জাতীয়করণের ধারাবাহিকতায় ক্যাডার এর অন্তর্ভূক্ত করণের ব্যবস্থা করা।

৩) ১৯৮১ বিধির মত ইফেক্টিভ সার্ভিস ১০০ ভাগ গণনাকরণ।
৪) জিও জারীর ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে ৬ মাসের মধ্যে এসব শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিতকরণের ব্যবস্থাগ্রহণ।

৫) বেসরকারি কলেজের নিয়োগ স্থায়ীকরণ হলে সরকারি হওয়ার পর তা বহাল রাখা , নতুন করে স্থায়ীকরণ না করা।

৬) বুনিয়াদি প্রশিক্ষনকে শুধুমাত্র নায়েমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর বিকেন্দ্রীকরণ এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ সকলের জন্য সমান করা

৭) সকল শিক্ষকদের জন্য স্ব-তন্ত্র পে-স্কেল ও ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করা।
নিবেদক,
ফারহানা রহমান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *