কৃষকরা দিশেহারা,রাজারহাটে আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমন
নিউজ ডেস্ক,
রাজারহাটে প্রায় ৩হাজার হেক্টর আমন ক্ষেতে ব্যাপকভাবে পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। রোগবালাই নাশক ওষুধ প্রয়োগ করেও প্রতিকার না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
এবারে চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ১১হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করা হয়। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই কয়েক দফা বন্যা হওয়ায় কৃষকদের ফসলহানিসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। তারপরেও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জীবন বাঁচানোর তাগিদে ধার-দেনা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আমন ধানের বলান (চারা) সংগ্রহ করে রোপন করেন।
কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পরিচর্যা করে পূর্নাঙ্গ ক্ষেতে পরিনত করে। কিন্তু ২সপ্তাহ ধরে প্রাকৃতিক বৈরি আবহাওয়ার কারণে আমন ক্ষেতে শুরু হয় খোলপঁচা, পাতা পোড়া ও পাতা মোড়ানো রোগের প্রার্দভাব দেখা দেয়। নিমিষেই তা ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আকার ধারণ করে
রাজারহাট ইউনিয়নের মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ৩ একর জমিতে এ রোগ দেখা দেয়। বুধবার সকালে সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, যেসব ক্ষেতে পোকার আক্রমণ হয়েছে, সেসব ধান ক্ষেত দুর থেকে দেখলে মনে হয় ধান পাকার পর পাতা শুকিয়ে গেছে। কিন্তু তা নয়, ধানের শীষ বের না হতেই ধান গাছের পাতা শুকিয়ে যায়। আবার কিছু ধান ক্ষেতে ধান বের হওয়ার পর এ রোগ আক্রমণ করায় সব শীষের ধান চিটা হচ্ছে।
বাধ্য হয়ে কৃষকরা রোগ প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করে ফল না পাওয়ায় ইউনিয়ন কৃষি বিভাগে যোগাযোগের চেষ্টা করে।
এছাড়া কৃষকরা জানান, কৃষি বিভাগের কেউ মাঠ পর্যায়ে থাকে না। এমনকি তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা আসতে চেয়েও আসে না। বাধ্য হয়ে বাজারের সার ও কীটনাশকের দোকান থেকে সানটপ, ব্লেট, একতারা, সপসিন, ফলিকুর, লাটিভোসহ কয়েক প্রকারের কীটনাশক নিয়ে এসে জমিতে কয়েক দফা স্প্রে করা হয়। কিন্তু কোন উপকারে আসে নাই।
সব মিলে উপজেলার প্রায় ৩হাজার হেক্টর রোপা আমনে খোলপঁচা, পাতা পোড়া ও পাতা মোড়ানো রোগের প্রার্দভাব দেখা যায়। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার ষষ্টি চন্দ্র রায় জানান, এ উপজেলায় তেমন পোকার আক্রমন হয়নি। কৃষকদের কীটনাশক, পটাশ সার ও থিয়োভিট স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।