“জলকণার কাব্য”
Rajarhatbd.com
— নূরুন্ নাহার
শৈশবে জলকণা মুগ্ধতায়
গল্প শুনেছিল সমুদ্ররাজের,
যৌবনে সে মুগ্ধতা রূপ নিল ভালবাসায়।
অজপাড়াগায়ের ছোট্ট পুকুরের জলকণা
ভালবাসে উন্মত্ত মহাপ্রতাপশালী সমুদ্রকে।
হায় ভালবাসা!জলকণা অধীর হয়ে
প্রতিমুহূর্ত ক্ষণগোনে মিলনের।
প্রতিবর্ষায় প্রবল আশা নিয়ে তৃষা নিয়ে
সর্বশক্তি দিয়ে ছুটে যায় সে।
সীমাপ্রাচীরেধাক্কা খেয়ে কতবার ফিরে আসে
তবু অবিচল আশা ছাড়ে না।
অবশেষে এক বর্ষার বর্ষারানী সদয় হলেন,
সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দিলেন।
স্রোতের আশীর্বাদে জলকণা ছুটতে লাগলো
প্রাণপণ ছুটতে ছুটতে কত মাঠ প্রান্তর পেরোয়
তবু পথ ফুরোয় না, সমুদ্রের দেখা মেলেনা।
বর্ষা গিয়ে শরৎ আসে জলকণা আটকা পড়ে
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত জলকণা! চলার শক্তি নেই।
আশাহত জলকণা মৃত্যুভিক্ষা চাইল
সূর্যদেবের কাছে — তুলে নাও আমায় !
সূর্যদেব প্রখরতাপে বাতাসের ভেলায় চড়িয়ে
হিমালয় ঘুরিয়ে মেঘের বুকে ঠাঁই দিলে তাকে
তারপর শরতের এক শুভক্ষণে–
মেঘরাজ জলকণার কন্যা দান করলেন।
বৃষ্টির নূপুর পরে,রিমঝিম শব্দ তুলে
মহামিলনের ক্ষণে জলকণা এলো শেষে
সমুদ্ররাজের ঘরে।