রাজারহাটের ইতিহাস ও নামকরণ

রাজারহাটের ইতিহাস ও নামকরণ

রাজারহাটের নাম কেন রাজারহাট হলো, তা নিয়ে ব্যাপক মতভেদথাকা সত্তেও কেউই সঠিক কারণটি বের করতে পারেননি। অনেকে বলেন ১২শ শতকের প্রথম দিকে রংপুরে সেন বংশের শাসন শুরু হয় । সেন বংশের রাজা ছিলেন নীলধবজ চন্দ্র সেন ও নীলম্বর সেন । রাজা নীলম্বর ছিলেন খুব শক্তিশালী। তিনি অনেক যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। তার রাজধানী ছিল চতলা নামক স্থানে। এ চতলা বর্তমানে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে অবস্থিত। এখানে ছিল শক্তিশালী রাজা নীলম্বরের দূর্গ। ১৪১৮ খৃষ্টাব্দে গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহ আক্রমণ করেন নীলম্বরের রাজ্য। তিস্তানদীর পাড়ে উভয় পক্ষের তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল। এ যুদ্ধে রাজা নীলম্বর পরাজিত হয়ে আসামে পালিয়ে যায়। ধবংসপ্রাপ্ত হয় নীলম্বরের রাজধানী। নীলম্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন সুলতান হোসেন শাহের পুত্র নাসিরউদ্দিন আবুল মোজাফফর নশরত শাহ্। স্থানীয় লোকজন রাজার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এ এলাকার নাম করণ করেছেন রাজারহাট।

আবার অনেকের মতে তৎকালীন সময়ে রাজারহাট বলে কোন স্থানের নাম ছিলনা। বৃটিশ আমলে তৈরী রেল লাইন দিয়ে ধীর গতিতে চলাচলকরত বাম্পীয় ইঞ্জিন বিশিষ্ট লেংটাগাড়ী। গাড়ী যে স্থানে থামত তার নাম ছিলপায়ামারী। এ পয়ামারীর পাশে ছিল দু একটি দোকান। পাঙ্গা রাজ বংশের শেষ রাজা দেবেন্দ্র নারায়ন মেকুরটারী মৌজার প্রজাদের সাথে কুশল বিনিময়ের জন্যমাঝে মাঝে আসতেন। রাজা দেবেন্দ্র নারায়ণ আসার কারণে সেখানে দোকান পাট বাড়তে থাকে। তার ফলে পাঙ্গা রাজার খাস জমিতে হাটটি লাগানো হয়। জায়গাটি পাঙ্গা রাজার তাই হাটটির নাম করণ করা হয়েছে রাজারহাট । রাজারহাটের নামকরণ ও ইতিহাস প্রসঙ্গে এই মতবাদটি আলোচিত ও সার্বজনীন ।

উইকিপিডিয়া থেকে