বাংলাদেশে “ভালবাসা” দিবসের সূচনা

বাংলাদেশে “ভালবাসা” দিবসের সূচনা

মোছাঃ নুসরাত জাহান:
ভালবাসা, সে এক অন্যরকম অনুভূতি। যা যে কারোর প্রতি অনুভূত হতে পারে। হতে পারে সৃষ্টিকর্তা, মা-বাবা, ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব, গুরুজন, প্রিয়জন, প্রকৃতি কিংবা কোন জীবের প্রতি। ভালবাসার অর্থ একেক জনের কাছে একেক রকম। তবে ভালবাসা দিয়ে যে পুরো বিশ্ব জয় করা সম্ভব এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে না।

প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারী গোটা বিশ্বে “বিশ্ব ভালবাসা” দিবস পালন করা হয়। এ দিবসটির পেছনে বিভিন্ন ইতিহাস বিদেরা ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। তবে ভালবাসার জন্য সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছর ১৪ই ফেব্রুয়ারী যে ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করা হয় এ বিষয়ে প্রায় সকল ইতিহাসবিদ গণ একমত পোষন করেন।
১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের আবির্ভাব ঘটে। যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রহমান। যিনি পড়াশুনা করেছেন লন্ডনে। তিনি পাশ্চাত্যের ছোয়া নিয়ে দেশে এসে লন্ডনী সংস্কৃতির প্রাকটিস শুরু করেন। তিনি প্রথম “যায়যায়দিন” পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালবাসা দিবস বাংলাদেশীদের কাছে তুলে ধরেন। তেজগাঁওয়ে তার পত্রিকা অফিসে চাকুরি নিতে গেলে তাকে নাকি তার সংগীকে সাথে নিয়ে যেতে হত। প্রেমের যুগলবন্দী কপোত-কপোতীকে দেখে উনি নাকি খুব খুশি হতেন। অভিধা প্রথম ব্যবহার করেন শফিক রহমান। এজন্য তাকে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবসের জনক বলা হয়। আর ধীরে ধীরে তা বাংলাদেশে প্রচার এবং প্রসার হতে থাকে।

আমরা মানুষ হিসেবে সব ভালকে ভালবাসি বলেই ভালবাসার মধ্যে আছি। পশ্যবৃত্তি একদিনের ভালবাসা হাজার দিনের ভালবাসাকে অপমান করার সামিল। তাই কোন পশ্যবৃত্তি নয়, কোন বেহায়াপনা নয়। কারন মানুষ “আশরাফুলমাখলুকাত”। আমাদের চারপাশে আদরে-অনাদরে পরে থাকা মানুষ গুলোর কথা ভাবার বড্ড প্রয়োজন। “বিশ্ব ভালবাসা দিবস” এর মানে এই নয় যে তা জমা করে ১৪ই ফেব্রুয়ারী পালন করতে হবে। আমরা মানুষ, মানুষকে ভালবাসব প্রতিটি ক্ষনে, প্রতিটি দিন, প্রতিটি কাজে।