চিলমারীর আমতলা চরে স্কুল না থাকায় দুই শতাধিক শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

চিলমারীর আমতলা চরে স্কুল না থাকায় দুই শতাধিক শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

এজি লাভলু:

আশপাশে স্কুল নেই তাই পড়াশোনাও হয় না শিশুদের। সময় কাটে খেলাধুলা আর সাংসারিক কাজে। এভাবেই চলছে কুড়িগ্রামের আমতলা চরের দুই শতাধিক শিশুর ভবিষ্যত। স্কুলে দিতে না পেরে সন্তানদের আগামীদিন নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা। যদিও সরকারপক্ষের আশ্বাস, শিগগিরই এই চরে গড়ে তোলা হবে বিদ্যালয়।

চারপাশে ব্রহ্মপুত্র নদ তার মাঝে জেগে ওঠা চর আমতলা। কুড়িগ্রামের চিলমারী শহর থেকে নৌকায় যেতে সময় লাগে ঘণ্টাখানেক। নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে প্রতিবছরই এই চরে আশ্রয় নেয় অনেক পরিবার।

এরপরই বন্ধ হয়ে যায় সন্তানদের পড়াশোনা। কারণ এখানে নেই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। খেলাধুলা আর সংসারের কাজে দিন কেটে যায় শিশুদের। চরের বাইরের স্কুলে কেউ কেউ ভর্তি হলেও দূরত্ব আর যাওয়া-আসার সমস্যায় ঝড়ে পড়ে তারা।

তাই সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। এ সময় এলাকাবাসী আমতলা চরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দাবি জানান এবং প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সহকারী শিক্ষক এনামুল হক বলেন, আমতলা চরটি গড়ে উঠা বেশ কয়েক বছর হলো। এখানকার ছেলে-মেয়েরা এখন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই চরের ছেলে মেয়েরা যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় এই জন্য এই চরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়া খুবই প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন (এমপি)’র সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষা থেকে কোনো এলাকার ছেলে মেয়ে কিংবা শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে আমাদের নজর আছে। আমতলা চরে শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হন সেদিকে আমাদের নজর থাকবে প্রয়োজনে সেখানে নতুন করে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।