জাতীয় পতাকার আদব কায়দাগুলো জেনে নিন

জাতীয় পতাকার আদব কায়দাগুলো জেনে নিন

‘একফোঁটা রক্ত আর একটা সবুজ পাতাও বৃথা যায়নি, সবটুকু সবুজ আর দেহের গাঢ় লোহিত মিশিয়ে, পৃথিবীর সুন্দরতম ভাস্কর্য গড়েছি, যার নাম বাংলাদেশ।’

এভাবেই কোনো এক কবি আমাদের স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। এই জাতীয় পতাকা আমাদের বহু কষ্টের অর্জন। 

বিজয় দিবসকে সামনে রেখে জেনে নিন জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

১. বাংলাদেশের পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট, লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২ ফুট, পতাকার দৈর্ঘ্যের সাড়ে ৪ ফুট ওপরে প্রস্থের মাঝে হবে লাল বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু।

২. জাতীয় পতাকা সঠিক রং ও মাপে তৈরি করতে হবে।

৩. গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগাতে চাইলে অব্যশই সামনে রাখতে হবে, পেছনে নয়।

৪. জাতীয় পতাকা মাটি, পানি বা মেঝেতে ফেলা যাবে না।

৫. জাতীয় পতাকার ওপর কিছু লেখা বা মুদ্র্রণ করা যাবে না। এমন কি কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে কিছু আঁকা যাবে না।

৬. নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানেই কেবল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা ওড়ানো যায়।

৭. শোক দিবসে পতাকা অর্ধনমিত করতে থাকবে। পতাকা অর্ধনিমিত রাখার ক্ষেত্রে প্রথমে পতাকা শীর্ষ স্থান পর্যন্ত ওঠাতে হবে। তারপর অর্ধনিমিত অবস্থানে রাখতে হবে। দিনের শেষে পতাকা নামানোর সময় পুনরায় শীর্ষ স্থান পর্যন্ত ওঠিয়ে তারপর নামাতে হবে।

৮. যখনই জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হবে, অবশ্যই দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতে হবে।

৯. পতাকার অবমাননা হলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। 

ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দেশ, জাতীয় পতাকা ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শেখাতে হবে।

সূত্র: দৈনিক শিক্ষা