রাজারহাটে ভাঙ্গা ব্রীজ ,ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ

রাজারহাটে  ভাঙ্গা ব্রীজ ,ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ

এনামুল হক সরকার:

গত তিন বছর যাবৎ কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কাশেম বাজার থেকে বড়বাড়ী যাওয়ার একমাত্র রাস্তার মাঝে ব্রীজ/পুল না থাকায় যোগাযোগে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকার সকল শ্রেণী পেশার ১৫ হাজার মানুষজন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ ঘটিকায় বড়বাড়ী থেকে আসা মোটর সাইকেলে থাকা তিন পথিক ধরাইর ভাঙ্গা পুলে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে লালমনিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে তাদের মধ্যে একজনের অবস্থায় আশংকাজনক বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় বাসিন্দা দেবেন্দ্র নাথ রায়।

তিন বছরে থেকে ভেঙ্গে পরা ধরাইর পুলের উপর দিয়ে পারাপার হতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ছোট বড় প্রায় দশটির বেশি।

চলতি বছরে রাস্তা পাকা করনে নতুন কাজ হলেও ধরাইর পুলটি পুনরায় নির্মিত হয়নি। নতুন পুল না থাকায়, লালমনিরহাট, বড়বাড়ী, সুলতান বাহাদুর, ভীমশর্মা, গোবধা,কিসামত গোবধা, মুস্তফি,মিয়া পাড়ার মানুষ উপজেলা শহরে যোগাযোগের চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ভীমশর্মা নিবাসী মহেন্দ্র নাথ বলেন, পুলটি নির্মাণ করেছে ১৯৭৫ সনে,পুনরায় মেরামত হয়েছে ১৯৭৫ সনে তারপর দীর্ঘ কাল থেকে মেরামত না হওয়ায় কয়েক যুগ থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় রয়েছে পুলটি।

ধরাইর পুলটি উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপির কাশেম বাজার থেকে ভীমশর্মা হয়ে বড়বাড়ী যাওয়ার রাস্তায় মাঝখানে পশ্চিম দেবত্তর মৌজায় অবস্থিত।

এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন যাবৎ পুলটি ভেঙ্গে পড়ে আছে ভাঙ্গা পুলের পশ্চিমে বাইপাস হয়ে প্রতিনিয়ত মালবাহী, গাড়ী রিকসা, ভ্যান সহ মোটরগাড়ি পার করতে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে কর্মব্যস্ত মানুষ। বর্ষাকালীন সময়ে বাইপাস রাস্তাটি পানিতেই ডুবে যায়। বিশেষ করে রাস্তায় ধারে সতর্কতা মুলক সাইন বোর্ড কিংবা মাইলফলক না থাকায় দুর্ঘটনার জন্য সড়ক বিভাগকে দায়ী করেছেন পথিকরা।

ওই এলাকার সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের, যোগাযোগের ভোগান্তি নিবারনে একটাই দাবী, নতুন পুল বা ব্রীজ নির্মাণ করে দেয়া হোক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী আলহাজ্ব শফি মোঃ আবু তাহের বলেন,ফ্লাড প্রকল্পে গৃহীত হয়েছে এবং চলতি অর্থ বছরে বাস্তবায়ন হবে।