করোনা মোকাবেলায় রাজারহাটে যা জরুরি-রাজারহাট বিডি

করোনা মোকাবেলায় রাজারহাটে যা জরুরি-রাজারহাট বিডি

লুৎফর রহমান আশু:

রাজারহাট উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় শত শত মানুষ বাড়ি ফিরেছেন। যারা ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকায় কাজ করছিলেন। বাড়ি ফেরা লোকজন সহসাই বাড়ির বাইরে বের না হলেও তার অভিভাবক এবং বাড়ির অন্যান্য লোকজন বাজারে যাতায়াত করছেন।

এতে করে সংক্রমণের আশংকা দিন দিন মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এখন রীতিমতো হুমকির মুখে। পরিস্থিতি উত্তরনের জন্য প্রশাসন প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালালেও সাধারণ মানুষ নির্বোধের মতো আচরণ করছে। যা রীতিমতো ভীতিকর।

এমুহূর্তে রাজারহাট বাজারের অভ্যন্তরের কাঁচাবাজার অনতিবিলম্বে কোন উন্মুক্ত প্রশস্ত জায়গায় স্থানান্তর করা উচিত। যা হেলিপ্যাড মাঠে কিংবা রেল লাইনের উপর সোজাসুজি করা যেতে পারে। (বর্তমানে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে)। সেখানে ক্রেতাগণকে চলাচলের জন্য একমুখী ব্যবস্থা করা উচিৎ।

সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রিতভাবে বাজার দুই/ তিন ঘন্টার জন্য খোলা রাখা যেতে পারে। এর বেশি নয়।রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদ মাঠেও অনুরূপ কোন বাজারে স্থানান্তর করা যেতে পারে।

এছাড়া নাজিমখান, সিংগাড়ডাবরীতে ক্ষনস্থায়ী বাজার খোলার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর বেশি নয়। সুপারি বাজার রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে এ জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই।

পুরো এলাকা এখনই পুর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রনে নেয়া উচিত।প্রয়োজনে লকডাউন করে দেয়া উচিত। সিদ্ধান্ত নেয়ার এখনই সময়। নইলে আমাদেরকে হাঁটতে হবে কোন দুঃখজনক পরিস্থিতির দিকে।

আমি রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি যেন বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুততার সাথে সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।