তিস্তার তীব্র ভাঙ্গনে বুড়িরহাট ক্রসবাঁধের একাংশ ধসে গেছে, ১৭টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে

তিস্তার তীব্র ভাঙ্গনে বুড়িরহাট ক্রসবাঁধের একাংশ ধসে গেছে, ১৭টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে

।।রনজিৎ রায়।।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপির খিতাবখাঁ মৌজায় তিস্তার প্রবল ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বর্তমান পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র স্রোতে বুড়িরহাট ক্রসবাঁধের একাংশ নদীগর্ভে ধসে গেছে।

তাৎক্ষণিকভাবে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ধসে যাওয়া অংশে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার চেষ্টা চলছে। এদিকে ক্রসবাঁধ সংলগ্ন ৬টি পরিবারের বসতবাড়িসহ ১৭টি পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনকবলিত পরিবারগুলো বর্তমান সবকিছু হারিয়ে বাঁধ রাস্তায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভাঙ্গনকবলিত ওই পরিবারগুলোর দাবী এখনও তারা সরকারি ও আধাসরকারিভাবে কোন ত্রাণ সামগ্রী তাদের ভাগ্যে জোটেনি তবে সম্প্রতি কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কয়েক প্যাকেট শুকনো খাবার তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপি’র খিতাবখাঁ এলাকার ভাঙ্গনকবলিত পরিবারগুলো হলো-মজিদুল ইসলাম (৪৫), খবর উদ্দিন (৫৫), আকলিমা (৫২), মনজুয়ারা (৪০), শফিকুল (৩৫), তৈয়ব আলী (৬৫)। এদিকে খিতাবখাঁ ৮ নং ওয়ার্ডের ১১টি পরিবার তিস্তার গর্ভে বিলীন হওয়া পরিবারগুলো হচ্ছে- শাহআলম (৩২), আব্দুল বাতেন (৩০), কাফি (৫৫), দেলওয়ার (৪২), আব্দুস ছাত্তার (৬৮), শাহজাহান (৪০), আব্দুল কুদ্দুস (৫৮), রফিকুল ইসলাম (৭২), জইনুদ্দিন (৬১), আজিজ (৩৮), খইদ্দর আলী (৬৫)।

পাশাপাশি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বুড়িরহাট বাজার, ফসলি জমি, বুড়িরহাট জামে মসজিদসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শতাধিক পরিবার।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে তিস্তার তীব্র স্রোতে বুড়িরহাট ক্রসবাঁধের একাংশ ধসে যাওয়ার খবর পেয়ে পরদিন শনিবার আমরা পুরোদমে ধসে যাওয়া অংশে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি বিদ্যানন্দ ইউপির কালির মেলা এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকাসমূহ শনিবার পরিদর্শন করেছি এবং নদীগর্ভে বিলিন হওয়া পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও শুকনো খাবার পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।