রাজারহাটে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা

রাজারহাটে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা

রমেশ চন্দ্র সরকার:
দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে রাজারহাটের মৃৃৎশিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর নদীর চরে দৃষ্টি নন্দন কাশবন যেন জানান দিচ্ছে দেবীর আগমনী বার্তা। ১১সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যদিয়ে শুভ সূচনা হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজা।
হিন্দু শাস্ত্রীয়মতে, প্রতি বছরই মা দুর্গা কোনো না কোনো বাহনে চরে মর্তে আগমন ঘটে।
সনাতন ধর্মের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামী ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে। শেষ হবে ২৬ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে।

এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা দেবী দুর্গার রুপ দিতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে মৃৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা ততই বেড়ে চলছে। এমনটাই বর্ণনা করলেন, উপজেলার বৈদ্যের বাজার এলাকার মৃৎশিল্পী শ্রী মিঠু মালাকার।
তিনি প্রায় ১৬ বছর যাবৎ মৃৎশিল্পীর কাজ করেন। এ বছর তিনি ৩০ সেট প্রতিমা তৈরীর চুক্তি করেছেন। প্রতি সেট প্রতিমার মূল্য ধার্য করা হয়েছে ১২- ১৫ হাজার টাকা করে। মৃৎ শিল্পীদের তুলির আচরে বাঁশের কাঠামে তৈরী দুর্গাদেবীর রুপ লাবণ্য ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রসঙ্গত উপজেলা বৈদ্যের বাজার এলাকায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিমা বিক্রির হাট বসেছে। এলাকার মৃৎশিল্পীরা এ বছর প্রায় ১২০ সেট প্রতিমা তৈরীর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায় এলাকায় অনকে এ পেশার সাথে জড়িত।

উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বাবু কৃষ্ণ পদ রায় জানান, এবারে রাজারহাটে দুর্গা পুজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সরকারি নির্দেশনা মেনে এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে সবাইকে আগাম শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। উল্লেখ্য এ বছর উপজেলায় ১০৯ টি পুজা মন্ডপে চলছে পুজোর প্রস্তুতি।