কলেজ পরিচিতিঃ মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ
মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। কলেজটি ১৯৭৩ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রাজারহাটের শিক্ষানুরাগি ব্যক্তিবর্গ, প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম মীর মুহাঃ হাবিবুল্লাহ মহোদয়। বর্তমানে কলেজটিতে ৬ টি বিষয়ের অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজে ৩টি দ্বিতল ভবন ও ৫ টি সেমি পাকা ভবন রয়েছে।
মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ দীর্ঘদিন থেকে জেলার শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে কুড়িগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়। অনেক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানরা বিনা বেতনে পড়ে এ কলেজের গন্ডি পেরিয়ে দেশের নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুরু থেকে ভালো ফলাফল, খেলাধুলা, স্কাউটিং, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সমুজ্জ্বলভাবে এগিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠানটি। কলেজটির শিক্ষার মান ভালো হওয়ায় জেলার সদর, ফুলবাড়ি, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ছাত্রছাত্রীরা এ কলেজে লেখাপড়া করছে যার নজির অন্য কোন কলেজে দেখা যায় না। এ কলেজকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো স্কুল, ব্যাংক, বীমা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ মো. সফিকুল ইসলাম রানা জানান, কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতকসহ ৬টি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু রয়েছে। কলেজে যথেষ্ট অবকাঠামো বিদ্যমান ও প্রায় ৭ একর জমি রয়েছে। কলেজের বর্তমান ছাত্রছাত্রী সংখ্যা তিন হাজার ও শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৯০ জন। উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত হওয়ায় জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলার যোগাযোগ অত্যন্ত ভালো।
কলেজটি রাজার হাট থানা সদরে হওয়ায় সকলের প্রত্যাশা একটু বেশী এই কলেজটিকে ঘিরে।কলেজটি আমাদের সদরে অবস্থিত বলে আমরাও অনেক সুযোগ লাভ করছি, আর্থিক ভাবে।
শিক্ষায় অনেক উন্নত বলে জেলায় অনেক সুনাম। ইদানিং,কলেজটি সরকারীকরন হয়েছে।যাক,তেমন ব্যাখা করার প্রয়োজন নেই। আমি সহ আমরা কলেজটির উত্তোরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
কামনা করি যেন,কলেজটি তার অতীত ঐতিহ্য সমুন্নত রাখে।
মোঃ জাহেদুল ইসলাম।
অনেক মিস করি এই কলেজের প্রতিটা বালুকণা, ইট, কাঠসহ সকল স্যারকে। সেই ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চষে বেরিয়েছি এই কলেজটিতে।