“সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাজারহাট গড়ি ” কর্মসূচির আওতায় বৃক্ষরোপন ১৩ সেপ্টেম্বর, ‘১৭

“সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাজারহাট গড়ি ” কর্মসূচির আওতায় বৃক্ষরোপন ১৩ সেপ্টেম্বর, ‘১৭

নিউজ ডেস্ক, ২৩ আগষ্ট,২০১৭, ১১.৪০
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাজারহাট উপজেলার জন্য এক ঐতিহাসিক দিন পালিত হতে যাচ্ছে। সেদিন এক সাথে গোটা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে প্রায় ৭ লক্ষাধিক গাছের চারা লাগানো হবে। গাছ লাগানোর এই পরিকল্পনা এলাকায় প্রচার হবার পর উপজেলা জুড়ে যেন সাজসাজ রব। প্রস্তুতি চলছে। তরুণ, যুবক, পৌঢ়, নারীসহ সব বয়সী মানুষের মাঝে এখন একটাই প্রতিক্ষা “১৩ সেপ্টেম্বর”। এই সাড়া জাগানো কাজের স্বপ্নদ্রষ্ঠা রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম। মানুষটিকে আমি কাছে থেকে দেখেছি- চিনেছি। তাঁর রক্তে চির তারুণ্য। নজরুলের ভাষায় সৃষ্টি সুখের উল্লাসে গাঁথা। তিনি একজন ব্যতিক্রমি মানুষ। নিয়ম ভাঙলেই তাঁর মাথায় যেন বাজ পড়ে। রেগে যান, বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি মানুষকে ভাল মানুষ হবার স্বপ্ন দেখান। প্রতিটি কাজে কর্মে অনুপ্রেরণা যোগান, উদ্দীপ্ত করেন। তিনি হলেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।
দেশের প্রতিটি উপজেলায় একজন করে উপজেলা র্নিবাহী অফিসার আছেন যারা কাজ করছেন সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে। কিন্তু সরকারি রুটিন দায়িত্ব পালনের বাইরে নিজের মেধা শক্তি জনস্বার্থে ব্যয় করেন ক’জন? যা আছে তাই সব কিছু নয় বরং এর থেকে আলাদা আঙ্গিক সৃষ্টিতে নিয়ে আসার নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকে তিনি কাজ করছেন, পরিশ্রান্ত হচ্ছেন। অসম্ভব কাজ পাগল এ মানুষটি রাজারহাট বাসীর জন্য যে অবদান রেখে যাবার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তা উপলব্ধির ব্যাপার। আমি তাঁর এ কাজের সফলতা কামনা করি। সেই সাথে সকল পেশাজীবি, ছাত্র-ছাত্রীদের এ কল্যাণমুলক কাজে স্বতঃর্স্ফুত অংশ গ্রহণের উদাত্ত্ব আহবান জানাই। চির সবুজ হোক রাজারহাট। বাসযোগ্য হোক রাজারহাট। জয় হোক রাজারহাটের।

অনেকে আমাকে ফোন করেছেন, ইনবক্স করেছেন তাঁদের সবার অবগতির জন্য আমার সংগ্রহে থাকা “সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাজারহাট” কর্মসূচির কিছু তথ্য উপস্থাপন করছি-

প্রকল্প. সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাজারহাট।
ইউনিয়ন. ৭ টি।
চারার সংখ্যা. ৭ লাখ। (প্রতিটি ইউনিয়নে ১ লাখ করে)।
চারার উচ্চতা. সাড়ে ৩ ফুট থেকে ৫ ফুট।
চারার বয়স. ৭ থেকে ১৫ মাস।
রাস্তার সংখ্যা. প্রায় ৩০০ টি।
গাছের খুঁটি. স্থানীয় মানুষের স্বতঃর্স্ফুত অনুদান।
লাগানোর সময়. ১ ঘন্টা।
খরচ. প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।
অর্থায়নে. উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ। (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ কাজে স্বেচ্ছা সহায়তা করতে পারবেন। প্রদেয় সহযোগিতার জন্য উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে)।
অংশগ্রহণকারী. উপজেলার সাধঅরণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক- অভিভাবক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ।
অংশগ্রহণকারী সংখ্যা. প্রায় ১ লাখ।

সম্ভাব্য উপকার. জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব থেকে রক্ষা, সামাজিক বনায়ন সৃষ্টি, দারিদ্র দূরীকরন, পাখীর অভায়রণ্য সৃষ্টি ও মৌ চাষের ক্ষেত্র তৈরীকরণ।

* এসংক্রান্ত আপডেট তথ্য পেলে তাৎক্ষনিক জানানোর প্রচেষ্টা থাকবে।
লুৎফর রহমান আশু,প্রধান শিক্ষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *