রাজারহাটে ব্রীজ নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর
মোঃ এনামুল হক,
রাজারহাটে ড্রেনের উপর বাঁশের (সাঁকো) দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই যাতায়াত করছে এলাকাবাসী। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। দীর্ঘদিনেও ড্রেনের উপর ব্রীজ নির্মিত না হওয়ায় এলাকার মানুষ চরম দূভোর্গের শিকার হচ্ছে।
তাই ব্রীজ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের হরিশ^র তালুক গ্রামের উপর দিয়ে একটি ড্রেন বয়ে যায়। এলাকাটি এক সময় দেউল সাগর যা বর্তমানে দেউলার বিল নামে পরিচিত।
ওই এলাকায় ছিল না কোন জনমানব। ধীরে ধীরে এলাকাটি জনবসতিতে পরিনত হয়। সেখানে শিক্ষার আলোসহ মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য হরিশ^র তালুক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সাহেব বাজার নামে একটি হাট গড়ে উঠে। বাজারটির ভিতর দিয়ে পাকা রাস্তাও নির্মিত হয়েছে।
কিন্তু বিস্তীর্ণ বেশকিছু এলাকায় ড্রেন থাকায় যাতায়াতে চরম দূর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী। এমনকি ওই এলাকার পূর্বপাড়ার আবুল শিকদারের বাড়ীর থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত দেউলিয়া দুধখাওয়া ড্রেনের উপর ব্রীজ নির্মিত না হওয়ায় প্রায় দেড় হাজার মানুষ বাঁশের খুঁটির উপর দু’টি লম্বা বাঁশ ফেলে (সাঁকো) তৈরি করে যাতায়াত করছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে ও যানবাহন নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই পারাপাড় হচ্ছে এলাকার মানুষ।
দীর্ঘ ৩৬বছর ধরে ওই এলাকার মানুষজন ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো উপর দিয়ে চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার সুলতান, দুলাল, শেখসাদী, আঃ লতিফ মোল্লা, জামাল শিকদার, মহিলা বেগমসহ অনেকে।
তারা জানান, অনেকবার বলার পর ২০১৪ সালে কাঁঠের সাঁকো তৈরি করে দেন ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সেটি ভেঙ্গে যায়। আবারও পুরোনো নিয়মেই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে এলাকার মানুষ যাতায়াত করছে।
তারা আরো জানান, বর্তমানে প্রায় ৩শতাধিক ছেলে-মেয়েসহ দেড় হাজার মানুষ ওই টারের উপর দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজারে চলাচল করে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া ওই এলাকার কেউ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ওই বাঁশের দিয়েই নিয়ে যেতে হয়। বর্ষার সময় ওই টার দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে বহু ছেলে-মেয়ে পানিতে পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তাই এ দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক জানান, বাঁশের সাঁকো পরিবর্তে ব্রীজ নির্মাণের জন্য বার বার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে ৩০ অক্টোবর সোমবার উপজেলা প্রকৌশলী জিকেএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।