আমরা বধ্যভূমির পাশে আরেকটি বধ্যভূমি দেখতে চাইনা।

Rajarhatbd.com
Abdul Baten,
” ঠাটমারী ব্রীজ” রাজার হাট উপজেলার এক আতঙ্কিত স্থানের নাম। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রাত বিরাতে কতবার যে ব্রীজটি অতিক্রম করেছি হিসাব রাখিনি। এমনিতেই রাতের বেলায় ঐ স্থানে গেলে অজানা আতঙ্কে গা শিউরে উঠে।
কারণ পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়ে অগণিত মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছিল একই স্থানে। যার স্মৃতি বহন করছে ঠাটমারী বধ্যভূমি। সেই একই জায়গায় বার বার রক্তাক্ত লাশ ফেলে শান্তিপ্রিয় উপজেলাকে বার বার কলঙ্কিত করছে অন্ধকার জগতের মস্তিস্ক বিকৃত কিছু মানুষরুপী অমানুষের দল। ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। সামান্য কিছু টাকার জন্য প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে রাতের বেলায় অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়েছিল এক টগবগে তরুণ।
অটোরিক্সার চাকার সাথে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর স্বপ্ন ছিল চোখে মুখে। কে জানে সে রাতটাই ছিল তার জীবনের শেষ রাত ? মাঝরাস্তায় দাড়িয়ে থাকবে যমদূত? জানলে হয়তো এমনটি হত না।
তার আর ঘরে ফেরা হয়নি। ঘরে ফিরে মায়ের হাতের স্নেহস্পর্শ কিংবা স্নেহচুম্বন কোনটাই তার কপালে জুটেনি। মানুষরুপী কিছু জানোয়ারের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে ধ্বরণীর বুক থেকে শেষ বিদায় নিয়েছেন। পৃথিবীর কোন কলঙ্কই তাকে আর স্পর্শ করবে না। কিন্তু প্রশাসনের কাছে একটি প্রশ্ন -তাকে হত্যা করে যারা কলঙ্কিত হয়েছে তারা
এ সভ্য সমাজকে বার বার কি কলঙ্কিত করেই যাবে ? সদিচ্ছা থাকলে প্রশাসন পারে না এমন কোন কাজ নেই। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, মিডিয়াকর্মীদের সহযোগিতায় প্রশাসন সঠিকভাবে আগালে অবশ্যই এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব। আর এর জন্য যা যা করা দরকার প্রশাসন করবেন বলে সাধারণ মানুষ আশাবাদী। কেননা, আমরা “বধ্যভূমির পাশে আরেকটি বধ্যভূমি” দেখতে চাই না।