রাজারহাটে হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী মোন্নাফ

রাজারহাটে হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী মোন্নাফ

এ.এস.লিমন:

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুল মোন্নাফ হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছে। তিনি ৬ বছর পূর্বে ধার দেনা করে প্রথমে ২০-২৫টি হাঁস কিনে পালন শুরু করেন। এরপর মোন্নাফকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এভাবেই যাত্রা শুরু হয় মোন্নাফ আলীর এগিয়ে চলার পথ।

বর্তমান তার খামারে ১০০০ অধিক হাঁস রয়েছে। তিন মাস বিরতিহীন ভাবে প্রতিদিন হাঁসগুলো গড়ে ডিম দেয় ২০০-২৫০ টির মত। প্রতিটি ডিম বাজারে পাইকারী হিসাবে ৮-৯ টাকা দরে প্রতিদিন মোট ডিম বিক্রি করেন ১৮০০-২০০০ টাকা। এছাড়া ৩/৪ মাস পর পর এক একটি পরিপক্ক হাঁস বাজারে বিক্রি করেন সর্বনিন্ম ২৫০-৩৫০ টাকায়। তিনি হ্যাচারী থেকে হাঁসের বাচ্চা কিনে এনে খামারে পালন করেন।
প্রতিটি হাঁস পরিপক্ক হতে খাদ্য ওষুধ বাবদ খরচ হয় ৯০-১০০ টাকা। খামারী আব্দুল মোন্নাফ এ প্রতিনিধিকে জানান,প্রায় ৬ বছর ধরে হাঁস পালন করে আসছি ,আর হাঁসের খামারের আয় থেকে বর্তমান গরু-ছাগল ও জমি কিনেছি এবং পরিবার- পরিজনকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বর্তমান দিনযাপন করে আসছি। অথচ ৫-৬ বছর পূর্বে অনাহারে-অর্ধাহারে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে কোন রকমে দু বেলা দু-মুঠো ভাত খেতে পেরেছি।

সবকিছুই আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা। নাজিমখান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক পাটোয়ারী (নয়া) বলেন, আব্দুল মোন্নাফের হাঁসের খামারটি অত্র এলাকার জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি হাঁস পালন করে নিজে স্বাবলম্বী হয়েছে। তার এই হাঁসের খামার দেখে অত্র এলাকায় অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা হাঁসের খামার গড়ে তুলতে শুরু করেছে। এতে বেকারত্ব দুর হবে এই প্রত্যাশা করছি। এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃজোবাইদুল ইসলাম বলেন,খাল- বিল ও মৎস্য খামারে হাঁস পালনের জন্য উপযোগী স্থান ও পরিবেশ। হাঁস পালনের উপযোগী পরিবেশের কারণে অনেকেই নিজ উদ্যোগে হাঁসের খামার গড়ে তুলে যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি ডিম ও মাংসের চাহিদা মেটাচ্ছেন। আমরা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে হাঁস পালনকারীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।