আজ মুকুটহীন সম্রাটের ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ মুকুটহীন সম্রাটের ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ৪ নভেম্বর। রাজারহাটের ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর দিন, এক স্বজন হারানোর দিন।

১৯৯৫ সালের এই দিনে রাজারহাট উপজেলার মুকুটহীন সম্রাট আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী স্যার বাংলাদেশ বিশেষ করে রাজারহাট উপজেলার অগণিত অনুরাগী ও আপামর জনতাকে কাঁদিয়ে অকালেই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান।

১৯৩৭ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অত্যন্ত সাফল্যের সাথে শিক্ষা জীবন শেষ করে মানুষের টানে ফিরে আসেন গ্রামে। আলো ঝলমলে ও বিলাসবহুল জীবনের নিশ্চিত হাতছানি উপেক্ষা করে গ্রামের সাধারণ জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

মানব সেবার জন্য তিনি বেছে নেন শিক্ষকতার মত একটি মহান পেশা, শিক্ষকতা জীবনকেই গ্রহণ করেন জীবনের আদর্শ হিসেবে। এই মহান ব্যক্তি ১৯৬৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

তাঁর শিক্ষা আর আদর্শে আলোকিত হয়েছেন রাজারহাটের হাজার হাজার শিশু, ছাত্র, মানুষ। তিনি সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে আওয়ামী রাজনীতির আদর্শ ধারণ ও লালন করেন। রাজনীতির অত্যন্ত জনপ্রিয় এই মহান পুরুষ ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে দেশের সংকটকালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। রাজারহাটের এই ক্ষণজন্মা গুণী মানুষটি একাধারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, গণপরিষদের সদস্য, বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।

তিনি রাজারহাট উপজেলা পরিষদের বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জনাব জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি (JS Bappi) এর গর্বিত পিতা।

১৯৯৫ সালের ৪ নভেম্বর দুপুর ১.২০ মিনিটে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে তাঁর প্রাণের জায়গা রাজারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় চেয়ারে বসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা স্যারকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। আমিন।