তিনি পারতেন পড়াশুনা শেষ করে অভিজাত পরিবারের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিদেশে পাড়ি জমাতে!

তিনি পারতেন পড়াশুনা শেষ করে অভিজাত পরিবারের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিদেশে পাড়ি জমাতে!

তিনি পারতেন সে সময় রাষ্ট্রের কোনো উচ্চ পর্যায়ে চাকুরীজীবি হয়ে বিশাল আমলা হতে!তিনি পারতেন বিশাল ব্যবসা-বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ে জীবন অতিবাহিত করতে! কিন্তু! তিনি তা করেননি!

তিনি করেছেন!তার পিতার সামাজিক কর্মকাণ্ড তাকে মানবিক হতে উদ্বুদ্ধ করেছে! তার পিতার ছত্রছায়া থেকে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করার অক্লান্ত চেষ্টা করেছেন।

তার চিন্তা চেতনা রাজারহাটকে অনেক অনেক সম্মানিত করেছে! যেমন:উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা:রাজারহাটের মানুষ যখন উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে ঝরে যেত! অভাবের কারণে দূর-দূরান্তে গিয়ে পড়াশোনা অসাধ্য হয়ে যায়! যোগাযোগের বৈরিতার কারণে এলাকা থেকে অসংখ্য মেধা ঝরে পড়ছিল !

ঠিক সে সময় বিদেশে পাড়ি না জমিয়ে অথবা বিশাল মাপের কোনো আমলা না হয়ে শিক্ষকতার ব্রত নিয়ে রাজারহাটে একটি কলেজ গড়ার স্বপ্ন বুনতে শুরু করলেন! সদ্য স্বাধীন দেশে যখন সাধারণ মানুষের স্বপ্নগুলো লন্ডভন্ড!

সে সময় তিনি স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কলেজ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে শুরু করেন কলেজ গড়ার কার্যক্রম! জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একক নেতৃত্বে সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীনতা অর্জন করে! আমরা হই “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামক রাষ্ট্রের নাগরিক!

আর তিনি মীর হাবিবুল্লাহ রাজারহাট বাসীকে উন্নত নাগরিক হওয়ার স্বপ্ন ও পথ দেখালেন! সদ্য স্বাধীন দেশে ১৯৭৩ ইং সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার এর কাছ থেকে কলেজ করার অনুমতি নিয়েই শুরু করলেন “রাজারহাট কলেজ” যা আজকের নাম “সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ রাজারহাট” এখন এই কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে জেনারেল কোর্স, বিএম শাখায় বিভিন্ন কোর্স, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডিগ্রী পাস কোর্স, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয় তা এখন সরকারিকরণের রূপান্তরিত হয়েছে!

যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা নারীজাতির অগ্রদূত দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অবদান।এই কলেজে অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকতার মধ্যে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় ছিলেন রাজারহাটের আর এক মহারতি ” জমিদার আহমদ আলী মন্ডল এর সন্তান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য আইন প্রণেতা, মুকুটহীন সম্রাট জনাব আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী !

আজ সেই কলেজ থেকে অসংখ্য মেধাবীছাত্র-ছাত্রী দেশে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে! এবং সফলতার সঙ্গে স্বাক্ষর রেখে চলেছেন গর্বিত এই কলেজের ছাত্রছাত্রী হয়ে!

কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা: রাজারহাটের প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কে আরো উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার তার অক্লান্ত পরিশ্রম ছিল! তার একান্তই তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন কলেজের উত্তর-পশ্চিম কর্নারে শিশু নিকেতন রাজারহাট নামক একটি শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান! যা আজও রাজারহাটের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত!

রাজারহাট থানা: ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট এ বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে হত্যা করে রাষ্ট্রব্যবস্থা বিশৃংখল অবস্থায় নিপতিত হয়! বিভিন্ন নাটকীয়তার মাধ্যমে সামরিক জান্তা ক্ষমতায় আসে! সেই জান্তা রেলযোগে রাজারহাটে আসলে, রাজারহাটে সুধীজন হিসেবে মীর হাবিবুল্লাহ রাজারহাট থানার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।

পরবর্তীতে উনি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে ১৯৮৬ সালে তা বাস্তব রূপ নেয়!থানা হওয়ার সুবাদে বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ সুবিধার আওতায় চলে আসে রাজারহাট থানা!

লেখক:কে. এম. আশিকুর রহমান চয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক (সাবেক)বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, এম এই কলেজ শাখা, রাজারহাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক (সাবেক)বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজারহাট উপজেলা,রাজারহাট, কুড়িগ্রাম।