স্মার্ট জীবাণুনাশক টানেল আবিষ্কার

স্মার্ট জীবাণুনাশক টানেল আবিষ্কার

নুসরাত জাহান :

গোটা বিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত তখন কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মতিউর রহমান রিয়াত ভাবতে থাকেন কিভাবে অতি সহজেই জীবাণুর বিস্তার ঠেকানো যায়।

সেই আইডিয়া থেকেই আবিষ্কার করেন স্মার্ট জীবাণুনাশক টানেল।Institution of Diploma Engineers Bangladesh,IDEB দিনাজপুর শাখার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জীবাণুনাশক টানেল তৈরি হয় যা গত ২৬শে এপ্রিল দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থাপন করা হয়।

জীবাণুনাশক টানেলটির সাহায্যে যারা বাইরে থেকে হাসপাতালে আসতেছেন তারা টানেলের মধ্যে প্রবেশ করলেই অটোমেটিক শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।এতে করে বাইরে থেকে করোনা সহ অন্যান্য রোগ জীবাণু হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবে না।জীবাণুনাশক টানেলটির আবিষ্কারক মতিউর রহমান রিয়াত বলেন,জীবাণুনাশক টানেলটির ভিতরে কেউ প্রবেশ করলে তা অটোমেটিক স্প্রে শুরু করবে যার ফলে জীবানুনাশক অপচয় হওয়ার ভয় নেই।

সার্বিক সহযোগিতা পেলে দিনাজপুর জেলা সহ দেশের অন্যান্য হাসপাতাল, ক্লিনিক গুলো তে সে এই টানেল স্থাপন করতে চায়।জীবাণুনাশক টানেলটি স্বল্প খরচে মাত্র ১০-১৫ হাজার টাকায় তৈরি করা সম্ভব। যা সোলার দিয়ে চালানো হয় যার ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলেও কোন অসুবিধা হয়না।

কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ ২০১৭ সালে ডিপ্লোমা পড়বার সময় রিয়াত কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এসময় তিনি আবিষ্কার করেন স্মার্ট হেলমেট। হেলমেট মাথায় না দিলে কিংবা মাদকাসক্ত অবস্থায় মোটর বাইকইঞ্জিন চালু হবে না। এরকম থিম থেকেই তৈরি করা হয় স্মার্ট হেলমেট।রিয়াত এর আগে ২০১৬সালে জাতীয় পুরষ্কার ও অর্জন করে বাংলাদেশের মত পরিবেশের সাথে ক্ষাপ খেয়ে উইন্ড মিল থেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন এর পদ্ধতি আবিষ্কার করে। যা সেসময় বেশ আলোচিত হয়।

আর এবার তার স্মার্ট জীবাণুনাশক টানেল আবিষ্কার দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম সহ গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।মতিউর রহমান রিয়াতের বাড়ী দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলায়।

সে বর্তমানে প্রাইভেট কোম্পানি টিভিএস অটো বাংলাদেশ এ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে আছেন তার পাশাপাশি উত্তরা university তে Bsc in Eee তে পড়াশোনা করতেছেন।

এলাকায় তিনি স্মার্ট হেলমেট বিজ্ঞানী নামেই পরিচিত। রিয়াত বোচাগঞ্জ উপজেলার প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক মোঃ তরিকুল ইসলামের ছেলে।

আইডিবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল বলেন,মতিউর রহমান প্রথম যখন আমাদের কাছে জীবাণুনাশক টানেলের প্রস্তাব করেন আমরা রাজি হয়ে যাই,কিন্তু লকডাউনের কারণে ঢাকা থেকে সেন্সর নিয়ে আসা কঠিন ছিল।আমরা তবুও চেষ্টা করেছি।

তার অদম্য ইচ্ছা ও আমাদের সার্বিক সহোযোগিতায় আমরা টানেলটির কাজ শেষ করেছি।আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেন্সর আসলে টানেলটি অটো অনঅফ হবে।আশা করি এই জীবাণুনাশক টানেল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দিনাজপুর সহ বাংলাদেশ কর্মক্ষেত্রে করোনা মুক্ত করতে সক্ষম হবো।

উক্ত জীবাণুনাশক টানেলটির শুভ উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিবেস সরকার, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের নিবাহী অফিসার মাগফুরুল হাসান আব্বাসী, বিএমএর সভাপতি ডা. ওয়ারেস আলী সরকার, সাধারন সম্পাদক ডা. বিকে বোস, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চু, সাধারন সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের সহযোগি অধ্যাপক ডা. নুরুজ্জামান, ডা. নাদির হোসেন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মশিউর রহমানসহ চিকিৎসকবৃন্দ সহ Ideb দিনাজপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।