রাজারহাটে বি আর-২৮ ধানে মড়ক

রাজারহাটে বি আর-২৮ ধানে মড়ক

।।রমেশ চন্দ্র সরকার।।

চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শেষ সময় এখন। মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী ধান। আর ক’দিন পরেই ধান কাঁটার উৎসবে মেতে উঠবেন কৃষক পরিবার।

কিন্তু কৃষকের সেই স্বপ্নের ঘরে আগুন দিচ্ছে ব্লাস্ট নামক এক প্রকার ছত্রাক।

রাজারহাটে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে মোট কৃষিজ জমির প্রায় ৩০ শতাংশ জমি সেচের আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে কৃষকরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে বি  আর-২৮ ধানের চাষ করেছেন। কিন্তু ব্লাস্ট নামক ছত্রাকের আক্রমণের ফলে অনেকের জমির ফসল পুরোপুরি কিংবা আংশিক নষ্ট হয়ে গেছে।

রাজারহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একই চিত্র চোখে পরে। কথা হয় চাকির পশার তালুকের কৃষক সুদার্শন চন্দ্র সরকারের  সাথে। তিনি জানান,আমি এক বিঘা জমিতে বি আর-২৮ ধানের চাষ করেছি কিন্তু ধান পাঁকার আগে সম্পুর্ন ক্ষেতের ধানের শীষ পুড়ে গেছে।

ফরকেরহাটের আব্দুর রহিম, পুণকরের কৃষ্ণ পদ,নাজিমখাঁনের সুজন চন্দ্র বকসী ও তালতলার নিমাই কুমার প্রমুখ একই কথা বলেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকতারা  জানান,বিষয়টি আমরা অবগত আছি এবং সে মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। গত দুবছর যাবৎ আমরা কৃষকদের বি আর-২৮ ধান চাষে নিরুৎসাহিত করে আসছি যার ফলশ্রুতিতে চলতি বোরে মৌসুমে বি আর-২৮ ধানের চাষাবাদ কম হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু এলাকায় ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পরার খবর আমরা পেয়েছি এবং কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ায় তা সহনীয় পর্যায়ে আছে। কর্মকর্তারা আরো জানান,বৈরী আবহাওয়া ও ইউরিয়া সারের ব্যবহার বেশি হওয়ার কারনে ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমন বেশি হয়। এ জন্য কৃষকদের  ধানের শীষ আসার আগে একবার এবং শীষ আসার পরে ট্রাইসাইক্লাজোল গ্রুপের ছত্রাক নাশক দ্বারা স্প্রে করার পরামর্শ  দিয়ে থাকি এবং সহনশীল জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *