রাজারহাটে অপহরণকারী জিতু মিয়া গ্রেপ্তার, অপহৃতা কলেজ ছাত্রী উদ্ধার-রাজারহাট বিডি

রাজারহাটে অপহরণকারী জিতু মিয়া গ্রেপ্তার, অপহৃতা কলেজ ছাত্রী উদ্ধার-রাজারহাট বিডি

এ এস লিমন:

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অপহৃতা কলেজ ছাত্রী প্রতিমা রানী (১৭) কে অবশেষে ১৯ দিন পর বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে রাজারহাট থানা পুলিশ।

সেই সঙ্গে অপহরণকারী জিতু মিয়াকে আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ ও অপহৃতা জানান, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামের অমল চন্দ্র রায়ের কন্যা ও সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রতিমা রানী (১৭) কে কলেজের সামন থেকে গত ১ জানুয়ারী সকাল ৯ ঘটিকায় অপহরণ করে। বাড়ী ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে তার পিতা বাদী হয়ে ৬ জানুয়ারী রাতে রাজারহাট থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।

কিন্তু দীর্ঘদিন অপহৃতা প্রতিমা রানীর খোঁজ না পেয়ে বাড়ীর লোকজন হতাশ হয়ে পড়ে। এদিকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ট্রেকিং করে বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে ১৯ দিন পর গতকাল রাতে রাজারহাট থানার ওসি (তদন্ত) পবিত্র কুমারের নেতৃত্বে এসআই অনিল চন্দ্র ও এএসআই নাছিরসহ পুলিশ সদস্য খাদিজা বেগম বগুড়া পুলিশের সহায়তায় বগুড়া চারমাথা গোদার পাড়া- উত্তর পাড়া আজিজার রহমানের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অপহৃতা প্রতিমা রানীকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী জিতু মিয়া(২৬) কে আটক করে রাজারহাট থানায় নিয়ে এসে।

১৯ জানুয়ারী সকালে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং অপহৃতা প্রতিমা রানীর আদালতের মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি গ্রহণ করে।

শেষে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে। অপহরণকারী জিতু মিয়া বগুড়া চারমাথা গোদারপাড়া উত্তর পাড়া এলাকার আজিজার রহমানের ২য় পুত্র বলে জানা গেছে।

অপহরণকারী জিতু মিয়া বলেন, প্রতিমা রানীর সঙ্গে ৩/৪ মাস আগে মোবাইল ফোনে ভূল নাম্বার বিনিময়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ কারণে নিজেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর পরিচয় দিয়ে প্রতিমা রানীকে অপহরণ করে নিয়ে আসি। অপহরণকারী জিতু মিয়া ১৯দিন ধরে প্রতিমা রাণীকে একটি বাড়ীতে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর আগে সে ওই এলাকায় ৪টি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে নির্যাতন করে ২ স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেয়। অপর ২ জনকে তালাক দেয়।

এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম সদর সার্কেল এডিশনাল এসপি উৎপল কুমার রায়ের সার্বিক তত্বাবধানে প্রতিমা রানীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া জড়িত অপহরণকারীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।