করোনা রুখতে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ কুড়িগ্রামের এসপির

করোনা রুখতে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ কুড়িগ্রামের এসপির

|| নিউজ ডেস্ক ||
করোনাভাইরাস রুখতে কুড়িগ্রাম জেলার প্রতিটি থানায় সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্ট করে শতভাগ সফল হতে জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম।

জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে বসবাসরত মানুষদের মাঝে করোনাভাইরাস সংক্রমন ও প্রতিরোধ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি হলেও প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে এখনও যথেষ্ট উদাসীনতা লক্ষ করা গেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে প্রচারনাকে গ্রহণযোগ্য ও সহজ করতে কুড়িগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মাইকিংসহ আচরন ও চলাফেরায় অভ্যাস পরিবর্তনে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বাধ্যতামুলক সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্টকরণ লাল গোলাকার চিহ্ন, নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে, প্রান্তিক পর্যায়ে আপদকালীন খাদ্য সরবরাহকারী টিম পাঠানোসহ সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ বাহিনী। ফ্রন্ট লাইনে থাকা পুলিশ টিম কোথাও সমস্যা চিহ্নিত করলে ভাইরাস সংক্রমিত এলাকায় কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে পুলিশের “দ্রুত পদক্ষেপ বাহিনী” দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, জেলার প্রত্যেকটি থানা কার্যালয়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ও সেবা নিতে আসা মানুষদের মধ্যে বাধ্যতামুলক সামাজিক দুরত্ব নির্দিষ্ট করতে লাল কালি চিহ্ন দ্বারা বৃত্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা সদরের হাসপাতাল সংলগ্ন এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে ফার্মেসিগুলোর সম্মুখে লাল কালিতে বিশেষজ্ঞদের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী ন্যূনতম বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্ট করে দেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করেছে জেলা পুলিশ।ফার্মেসি দোকানদারদের সাথে আলোচনা করে দোকান ডেস্ক থেকে ১ মিটার দুরত্ব এবং দোকানের ভিতর ও সামনের রাস্তার মাপ অনুযায়ী ক্রেতাদের নির্দিষ্ট দুরে দাড়ানোর জন্য লাল রং দ্বারা গোল চিহ্ন তৈরি করে ফার্মেসীগুলোকে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।এ কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের দু’জন করে সদস্যকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে করোনা মোকাবেলায় সংগঠন তৈরি করেও নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ করতে পারবেন।

এই বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পুলিশ যে কোন পরিস্থিতিতে কাজ করে আসছে। সামনের দিনগুলোতেও জনগনকে নিরাপদ রাখতে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় বাধ্যতামুলক করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী এবং সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনাভাইরাস সংক্রমন থেকে জেলাবাসীকে নিরাপদ রাখতে তিনি সকলের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করেন।

সূএ:ulipur.com