রাজারহাটে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং
নিজস্ব প্রতিবেদক,
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং দেখা দিয়েছে।
ভ্যাপসা গরম ও বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া-আসা করায় চলতি ডিগ্রী পরীক্ষার্থীসহ স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে। ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টায় গড়ে মাত্র ৬/৭ ঘন্টা বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে, তাও আবার ৪৫-৫৫ মিনিটের বেশী স্থায়ীত্ব হয় না। বিদ্যুতের এ লুকোচুরি খেলায় বিদ্যুত চালিত কম্পিউটার-ল্যাপটপ, টিভি-ফ্রিজ, বাল্বসহ বিদ্যুত চালিত সামগ্রীগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা ও পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়িতে বিদ্যুতের পাশাপাশি জেনারেটর-এর সংযোগ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। ব্যবসায়ী রনজিৎ কুমার রায় (৩৫) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একদিকে বিদ্যুতের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে আবার বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। সব মিলিয়ে এ যেন আমাদের মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুত গ্রাহকদের অভিযোগ পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে একাধিকবার ফোন করলে তা রিসিভ করতে চাননা, তা রিসিভ হলেও বলে মেইন লাইন কেটে গেছে বলে ফোন রেখে দেন।
এ বিষয়ে রাজারহাট পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশনের ইনচার্জ মাধব চক্রবর্তী বলেন, প্রতিদিন পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ৪ মেঘাওয়ার্ট, সেখানে বরাদ্দ পাচ্ছি মাত্র ১.৫ মেঘাওয়ার্ট। অফ পিক আওয়ারে চাহিদা ২ মেঘাওয়ার্ট, সেখানে বরাদ্দ পাচ্ছি সর্বোচ্চ ১.৩ মেঘাওয়ার্ট। আমার সাব স্টেশনে ৫টি ফিডার রয়েছে। ভাগ করে করে যতটুকু সম্ভব সামাল দেয়ার চেষ্টা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সব মিলিয়ে রাজারহাট উপজেলায় বর্তমান বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং বিগত ৫ বছরের রেকর্ডকে হার মানিয়েছে বলে গ্রাহকরা এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছে।