রাজারহাটে ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে যুব ও ছাত্রলীগের একাংশের বিক্ষোভ

রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি,
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলামের অপসারণের দাবীতে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের একাংশের উদ্যোগে যুব ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
২৪অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সোনালী ব্যাংক চত্বরে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন চাকিরপশার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ বাদশা মিয়া, যুবলীগ নেতা জোবায়দুর ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক সুমন কুমার রায়, ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন প্রমূখ।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে চাকিরপশার ইউপি চেয়ারম্যান ও রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে ইউএনও মোঃ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী জিকে এম আনোয়ারুল আলম, খাদ্য নিয়ন্ত্রক খয়বর হোসেন সরকার, মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুলনবী মিঠু এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ইউএনও রফিকুল ইসলাম দৌড়ে গিয়ে তার বাসভবনে আশ্রয় নেন। ওই সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বিরোধী বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকে।

এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আর আমার বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সম্পন্ন ভিত্তিহীন।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক সুমন কুমার রায় বলেন, ইউএনও সাহেব বিভিন্ন সময় আমাদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর নামে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। যা মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়। তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। চাকিরপশার ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সরওয়ার্দ্দী বাপ্পী বলেন, বিভিন্ন সময় আমার এবং আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তিনি আজে-বাজে মন্তব্য করে আসছেন। ইউএনও সাহেবের একটা কাজের পরিধি রয়েছে, তিনি সেটা না করে তার মন মতো কাজ করে যাচ্ছে।

তার সঙ্গে বর্তমান বিএনপি দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াত সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহন করে আসছে। যা মোটেও মানা সম্ভব নয়। পাশাপাশি ইউএনও তার অফিস কক্ষে ঠিকমতো না বসায় উপজেলার সাধারণ মানুষজন নানা রকম হয়রানীর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আর তাকে আমি কোন ধরনের লাঞ্চিত করিনি। আমার বিষয়ে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পন্ন ভিত্তিহীন। রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুনুর মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, এসব ঘটনায় দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যা মোটেও কাম্য নয়। আশা করি অতি শীঘ্রই বিষয়টির নিস্পত্তি হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে তার সরকারী মুঠোফোন ০১৭০৯৯৭৪৫০০ নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *