কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমায় শিম

কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমায় শিম

rajarhatbd.com

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি পরিমাণে শাকসবজি খান তারা তুলনামুলকভাবে সুস্থ থাকেন। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অন্যদের চেয়ে বেশি হয়। সব ধরনের মৌসুমি শাকসবজিরই্ আলাদা ধরনের পুষ্টিগুণ আছে। যা শরীরের অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। শীতকালীন সবজি শিম-ও এর ব্যতিক্রম নয়। নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ শিম নানা ধরনের রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।

শিমে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক উপাদান যেমন-আই্ফ্লভোভোনস এবং ফাইটোষ্টেরলস থাকায় এটি শরীরে ক্যানসারে ঝুঁকি কমায়।

এর মধ্যে থাকা আঁশ রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন দশ গ্রাম করে আঁশজাতীয় খাবার খেলে শরীরে খারাপ কোলেষ্টেরলের মাত্রা দশ ভাগ কমে যায়। কোলেষ্টেরল কমানোর এই শক্তি আধা কাপ থেকে এক কাপ পরিমাণ শিমে পাওয়া যায়।

শিমে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে, শরীরে শর্করার পরিমাণ কমায়। আঁশ থাকায় এটি খেলে তাড়াতাড়িই পেট ভরে যায়, এজন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ডায়বেটিস রোগীদের জন্য শিম দারুন উপকারী। এতে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের ভারসাম্য থাকায় এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বেশ ভাল কাজ করে।

শিমে জিঙ্ক,ভিটামিন সি ও নানা রকম খনিজ উপাদান আছে। একারণে এটি রোগ প্রতিরোধে ভুমিকা রাখে। শিমে থাকা খনিজ উপাদান চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এর মধ্যে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। গর্ভবতী নারী ও শিশুর অপুষ্টি দূর করতে শিম বেশ উপকারী। গবেষনায় দেখা গেছে, নিয়মিত শিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। শিমের দানায় ভিটামিন বি সিক্স থাকায় তা স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখে, ফলে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে।

অনেক শাকসবজি আছে, যেগুলো সবার সহ্য হয় না। শরীরে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে । শিম খেয়ে এ ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

সূত্র : রিডার্স ডাইজেষ্ট
By Ulipur.com on November , 2017 লাইফস্টাইল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *