অটোচালক হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ধার হয়নি, আটক-১

অটোচালক হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ধার হয়নি,  আটক-১

Rajarhatbd.com
মোঃ এনামুল হক,
রাজারহাটে অটোচালক হত্যাকান্ডের ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন মোটিভ কিংবা ছিনিয়ে নেয়া ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারেনি। তবে ঘটনার ২দিন পর সন্দেজনকভাবে তার এক বন্ধুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

কুড়িগ্রাম-রাজারহাট সড়কের ঠাটমারী ব্রীজের পাশে হাত পা মুখ বাধা অবস্থায় ২৪ জানুয়ারী বুধবার সকালে অটো চালক জুয়েল মিয়া(২৫) নামের একটি লাশ পুলিশ উদ্ধার করে।
হত্যাকান্ডের শিকার ওই যুবক গত ২৩জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতে বাড়ীতে ফোন করে বাড়ী আসার কথা বলে আর ফিরে নাই। সে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পলাশবাড়ী চকিদার পাড়া গ্রামের রমজান আলীর পুত্র।
ওই দিবাগত রাতে যে কোন সময় দূর্বৃত্তরা তাকে মুখে কাপড় ও হাত-পা দঁড়ি দিয়ে বেঁধে শ্বাস রোধকরে গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেঁটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এসময় তার অটোরিকসা ও একটি এ্যান্ডুয়েট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অনেকে এ হত্যাকান্ড পূর্ব পরিকল্পিত বলে ধারনা করেন। কিন্তু ঘটনার ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও কোন মোটিভ পায়নি পুলিশ।
এমনকি ছিনতাইকৃত অটোরিকসা ও মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার ২দিন পর হত্যাকান্ডের শিকার জুয়েল মিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রতন মিয়ার পুত্র রোকন(২৫)কে সন্দেহজনকভাবে পুলিশ চর কুড়িগ্রাম তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছে ইতোমধ্যে পুলিশ ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়েছে । এদিকে হত্যাকান্ডের শিকার জুয়েলের পরিবার ও এলাকাকাসী এবং অটোচালক সমিতি কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব মোড় এলাকায় অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য মানববন্ধন করেন।

এব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেসুর রহমান বলেন, দ্রুত মোটিভ উদ্ধারের জন্য পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দু’একদিনের মধ্যে জুয়েল হত্যাকান্ডের মোটিভ উদ্ধার হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *