রাজারহাটে পোনা মাছের চাষ করে স্বাবলম্বী লেবু মন্ডল

রাজারহাটে পোনা মাছের চাষ করে স্বাবলম্বী লেবু মন্ডল

Rajarhatbd.com
রফিকুল ইসলাম,
বেকারত্ব ঘুচাতে ছাত্র জীবন থেকেই রাজারহাটের হামিদুল ইসলাম লেবু মন্ডল নামের এক যুবক চাকুরীর আশা না করেই ব্যতিক্রমী চিন্তা করে। এক সময় সে স্বল্প পুঁজি দিয়েই একাই মাছের পোনা চাষ শুরু করে।
এসএসসি পরীক্ষার পর ১৯৯৮ সালে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক রাজারহাট শাখা থেকে মাছের পোনা চাষ করার জন্য মাত্র ১৫ হাজার ঋণ নেয়। তাই দিয়ে রেণু পোনা মাছের ব্যবসা শুরু করেছিলেন মোঃ হামিদুল ইসলাম লেবু মন্ডল (৩৪)।
সফলতার সঙ্গে এসএসসিসে প্রথম বিভাগসহ বিএ পাস করে চাকুরী না খুঁজে পুরোপুরি মাছের পোনা ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েন তিনি। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর শুধু সফলতার গল্প শুরু।
রাজারহাট উপজেলার সদর ইউপির বোতলার পাড় গ্রামের বাসিন্দা সমাজ সেবক মরহুম আলহাজ্ব আহাম্মদ আলী মন্ডলের ৪র্থ পুত্র হামিদুল ইসলাম লেবু মন্ডল লেবু। ১৯৯৮সালের এসএসসি পরীক্ষার পর মাত্র ৩হাজার টাকা দিয়ে অন্যের একটি ছোট পুকুর লিজ নিয়ে রেণু মাছের পোনা চাষ শুরু করে। এখন শুধু তিনি রাজারহাট উপজেলা নয় গোটা কুড়িগ্রাম জেলার সর্বত্র সফল গুণগত মানের পোনা মাছের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
বর্তমান তিনি পৈতৃক ও লিজসহ প্রায় ২০ একর জমির ৫টি পুকুরে নিয়মিত পোনা মাছের চাষ করে আসছে। ৩৪বছর বয়সী এ যুবক সফল ব্যবসায়ী জীবনে ইতিমধ্যে প্রায় দেড় কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
তার ওই পোনা মাছের হ্যাচারীতে এ এলাকার ৮/১০ জন শ্রমিক সারা বছরেই কাজ করে তাদের পরিবার পরিজনের জীবিকা নির্বাহ করে। এ বিষয়ে পোনা ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম লেবু মন্ডলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম ব্যবসা শুরু থেকে আমার সাধনা ছিল সৎভাবে ব্যবসা করা।
আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে সে ভাবে তৌফিক দিয়েছে। তাই বাকী জিবনেও আমি সততার সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাব। নিজের ব্যবসায়ী অর্থ উর্পাজনের মধ্যে দিয়ে ৪একর জমি সহ বসতবাড়ী তৈরির পাশাপাশি ব্যবসায় এখন কোটি টাকা বিনিয়োগ করছি।
পাশাপাশি গুণগতমানের পোনা মাছ চাষে কোয়ালিটি সম্পূর্ণ খাবার পরিবেশনে তিনি বদ্ধ পরিকর। এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আঃ রহমান বলেন, লেবু মন্ডল একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে আমি তাকে চিনি ও জানি।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের আয়োজনে কোটেশনের মাধ্যমে ঠিকাদারদের সব সময় তার কাছ থেকে পোনা মাছ সরবরাহ করার জন্য বলা হয়ে থাকে। পাশাপাশি তিনি ২০১৪সালে উপজেলা পর্যায়ে এবং ২০১৫সালে জেলায় সফল মৎস্য কর্মী হিসেবে তাকে পুরুষ্কৃত করা হয়।