রাজারহাটে ভূট্টা চাষে আগ্রহী কৃষকেরা

রাজারহাটে ভূট্টা চাষে আগ্রহী কৃষকেরা

মোহাম্মদ আলী মন্ডল (এটম):
ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের শতকরা ৮০ জন লোক কৃষক। কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে। কৃষকেরা নিজে খায়, অন্যের খাবার যোগার করে। গ্রাম অঞ্চলের প্রধান চাষাবাদ বলতে ধানকেই বুঝায়। ধান চাষে প্রচুর খরচ করতে হয় গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের। যে পরিমান খরচ করে তারা ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পারায় তারা এখন বিপাকে। বর্তমান কৃষকের ঘরে ধান, তা বিক্রি করতে পারতেছে না ন্যায্য মূল্যে আবার আসতেছে নতুন ধান তারপরে শুরু হবে মহাজনের হালখাতা।

হালখাতা করতে বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হবে লোকসান দিয়ে সেই ধান। তাই কৃষকেরা খুজতে লাগল বিকল্প আবাদ। সেই বিকল্প আবাদ এখন আলু চাষ। এ বছর জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আলু তোলার পর সেই জমিতে শুরু করেছে ভূট্টা চাষ। কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যাচ্ছে ৭৫ ভাগ আলুর জমিতে শুরু করেছে ভূট্টাচাষ। ভূট্টার আবাদ দেখে মনে হচ্ছে বাম্পার ফলন হবে। ১৫ ভাগ জমিতে শুরু করেছে নমল ধান চাষ এবং ১০ ভাগ জমিতে পাট চাষ। পাট চাষের প্রধান সমস্যা হলো পর্যাপ্ত জলাধার না থাকায় পাট জাগ সম্ভব হয় না।

রাজারহাট ইউনিয়নের দুধখাওয়া গ্রামের কৃষক মো: ফজলুল হক মন্ডল জানান, পৌনে দুই একর জমিতে আলু চাষের পর পাট চাষ করতাম কিন্তু জাগ দেয়ার জায়গা না থাকায় ভূট্টা চাষ করেছি। ঘরে এখনো ধান আছে বিক্রি করতে পারছি না ৬০০ টাকারও কম মণ বলে।এভাবে সকল কৃষকদের অভিযোগ ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে তারা বিকল্প এই সব আবাদ শুরু করেছে। ভূট্টাচাষে তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। ভূট্টা তোলার পরপর শুরু করবে আমন ধান।

ভূট্টা এখন মাছের খাদ্য, গরুর খাদ্য, মুরগীর খাদ্য সহ নানান কাজে ব্যবহার হয়।সব মিলিয়ে কৃষকরা এখন ভূট্টাচাষে আগ্রহী। ভূট্টার সঠিক মূল্য পেলে দিন দিন ভূট্টাচাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে রাজারহাটের কৃষকেরা।