এগিয়ে যাওয়ার একটি পন্থা, নিয়মানুবর্তিতা

এগিয়ে যাওয়ার একটি পন্থা, নিয়মানুবর্তিতা

মোছাঃ নুসরাত জাহান

আমাদের দেশে, আমাদের সমাজে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু নিয়মকানুন আছে। কিন্তু আমাদের মাঝে যেটা নেই সেটা হলো নিয়ম মানার অভ্যাস।
.
→রাস্তায় পুলিশ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট গাড়ির কাগজ অথবা আরোহীর হেলমেট চেক করছে দেখতে পেয়ে আপনি গাড়ী ঘোরালেন। অন্যরাস্তায় যাবেন। কী দরকার কাগজ কিংবা হেলমেট পরার! চালাকি করে অন্য রাস্তায় গেলেই হয়।

→অন্যসবাই বোকার মতো অপেক্ষা করছে, করুক। আপনি রাস্তার উল্টোদিকে গাড়ী চালিয়ে এগিয়ে যাবেন। কারন আপনি অনেক চালাক।

→রাস্তার পাশে ডাস্টবিন আছে, কিন্তু আপনি উচ্ছিষ্ট রাস্তাতেই ফেলবেন। কারন নিয়ম আপনার ক্ষেত্রে খাটে না।

→অন্যরা লাইনে দাড়িয়ে আছে, তো কী হয়েছে! আপনি দাড়াবেন না।কারণ আপনি নিজেকে স্পেশাল মনে করেন। সিস্টেম খুজে সবার আগে ঢুকতে চান।

এভাবে যদি সব যায়গায় নিজেকে চালাক মনে করে সিস্টেম খুজতে চান তাহলে পরিবর্তন টা আসবে কী করে?
.
পৃথিবীর যে দেশ গুলো আজ সমৃদ্ধ তাদের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো,নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা। জাপান জার্মানি, আমেরিকা -যেখানে পুলিশ না থাকলেও দাড়িয়ে থাকে লোকজন। কারণ ছোটবেলা থেকেই নিয়ম মানার বিষয়টি তারা শিখে এসেছে। আর আমরা? এই নিয়মহীনতাই আমাদের পেছনে টেনে ধরে রেখেছে। তাই শুরুটা নিজেই করা উচিত। নিয়ম ভাঙা নয়; বরং নিজে নিয়ম মেনে চলুন, অন্যদের মানতে শেখান। বিশেষ করে বাচ্চাদের। অন্তত ভবিষৎ প্রজন্মটাতো নিয়ম মানতে শিখুক। যার মাধ্যমে তো কিছুটা হলেও এগিয়ে যাবে তারা। কারন “এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি পন্থা, নিয়মানুবর্তিতা।”