কুড়িগ্রামে ধরলাসহ ১৬ নদ-নদীর পানি বাড়ছে

কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ধরলার পানি বেড়েছে। পানির প্রবল স্রোতে লালমনিরহাটে সড়ক ভেঙে চারটি গ্রামের প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

অন্যদিকে একই কারণে কুড়িগ্রামের ছোট বড় ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ধরলার পানির তীব্র স্রোতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের শুলকুর বাজারে বিকল্প সড়ক সেতুর একাংশ ভেঙে গেছে। ফলে কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ধরলার স্রোতে বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউপির ওয়াপদা বাজার এলাকার ১২০ মিটার পাকা সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সড়ক বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টায়ও সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় স্বয়ং জেলা প্রশাসক আবু জাফর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি দ্রুত রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ধরলার ডানতীর বাঁধের কাছ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় বাঁধটি ধসে গিয়ে পানি ঢুকে এ রাস্তাটি ভেঙে গেছে। তবে যথাশিগগিরই রাস্তা চলাচলের উপযোগী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে সওজের লালমনিরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী নুরায়েন বলেন, সড়কটি এ মুহূর্তে স্থায়ীভাবে পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তবে চলাচলের জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে সড়কটির দুই পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে সেখানে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে। এ কাজ করতে কয়েক দিন সময় লাগবে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ধরলা নদী পয়েন্টে ২৬ দশমিক ৭৬, তিস্তা পয়েন্টে ২৮ দশমিক ১৫, ব্রহ্মপুত্র নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৮ দশমিক ৮৫, চিলমারী পয়েন্টে ২২ দশকি ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সূত্র: আমাদের সময়