রাজারহাটে আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষকের ঘুষ কেলেঙ্কারি অডিও ফাসঁ!

রাজারহাটে আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষকের ঘুষ কেলেঙ্কারি অডিও ফাসঁ!

এ.এস.লিমন:
অনিয়ম-বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (প্রশিক্ষক) মো.জিয়াউর রহমান জিয়া ‘ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে একটি অডিও ফাসঁ হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এবার রাইফেল প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ-লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ঘুষ দিতে না পারা একাধিক প্রশিক্ষণ বঞ্চিতদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলায় আনসার ও ভিডিপির বিনামূল্যে ২১ দিনের রাইফেল প্রশিক্ষণ গত ২৬ আগস্ট শুরু হয় এবং ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ওই প্রশিক্ষণ কোর্সে জিয়াউর রহমান জিয়া রাজারহাট ইউনিয়ন কমান্ডার আজিজুল হকের মাধ্যমে যোগসাজস করে জনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণের বিনিময়ে ১৪ জন যুবককে কুড়িগ্রামে রাইফেল প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছে। আনসার ভিডিপির জনৈক এক ইউপি কমান্ডার নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, জিয়াউর রহমান জিয়া রাজারহাট উপজেলায় আনসার ও ভিডিপির কর্মকর্তা (প্রশিক্ষক) হিসাবে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। তিনি আনসার অফিসে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলে ইউপি কমান্ডারদের মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্য করে আসছে। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আনসার ভিডিপি সদস্যদের ডিউটি প্রদান, ইউনিফর্ম প্রদানসহ অফিসে মালামাল প্রদান, গ্রাম ভিত্তিক মৌলিক প্রশিক্ষণ ও সম্মানী ভাতা প্রদানে ঘুষ গ্রহনসহ নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি করে আসছে। এছাড়া অফিসের এমন কোন খাত নেই যেখানে তিনি অনিয়ম দুর্নীতি করেন নাই।

প্রশিক্ষণ বঞ্চিত খোকন বলেন, আমি রাজারহাট ইউপি কমান্ডার আজিজুল হককে আড়াই হাজার টাকা দিয়েছিলাম প্রশিক্ষণ করার জন্য। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী অর্থ না দিতে পারায় আমাকে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়নি। ওই সময় আমি কৌশল অবলম্বন করে ঘুষ গ্রহনের কথোপকথনের বিষয়টি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে ফেলি। অডিওটি ফাঁসের পর খোকনকে ম্যানেজ করতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছে প্রশিক্ষক জিয়া। ঘুষ গ্রহনের অডিওটি এখন উপজেলাজুড়ে দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে প্রশিক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়া ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন খোকন আমার কাছে এসেছিল,কিন্তু তার পূর্বেই তালিকা চুড়ান্ত করে পাঠানো হয়েছিল।