রাজারহাটে ৯৯৯ ফোন করে উদ্ধার হলো প্রাণী ‘গন্ধগোকুল’

রাজারহাটে ৯৯৯ ফোন করে উদ্ধার হলো প্রাণী ‘গন্ধগোকুল’

মোঃ রোস্তম আলী:

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি তেলিপাড়া গ্রামে গত সোমবার (২৪/০২/২০২০ ইং) একটি বিলুপ্তপ্রায় “গন্ধগোকুল” প্রাণি ধরা পরে।

এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বালাকান্দি তেলিপাড়া গ্রামের ছোট ছেলেরা খেলাধুলা করার সময় প্রাণিটি গাছে উঠলে বাচ্চারা লাঠিসোটা দিয়ে প্রাণিটিকে আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকার সময় ধরে কোমরে রশি বেঁধে স্থানীয় ফেডারেশন বাজারে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে।

বিলুপ্তপ্রায় প্রণিটিকে দেখতে উত্সুক জনতা ভীড় জমায়। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলো এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ সানাউল ইসলাম রনি।সে ধনঞ্জয় গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান মানিকের পুত্র।

সে প্রাণিটির দুরাবস্থা দেখে তৎক্ষনাৎ জরুরী হেল্পলাইন ৯৯৯-এ ফোন করলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে।

পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ৮.৪৫ ঘটিকায় খবর পেয়ে রাজারহাট উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর ইসলাম প্রাণিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। তিনি বলেন, প্রাণিগুলো আমাদের পরিবেশের বাস্তুসংস্থানের জন্য এক অতীব জরুরী উপাদান।

এগুলোকে ধরা বা মেরে ফেলা দু’টিই আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এর ফলে আমরা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমাদের উচিত্ এদেরকে রক্ষনাবেক্ষন করা। “গন্ধগোকুল” প্রাণিটি ভিভেরিডি পরিবারের পগুমা গণের একটি মাঝারি আকারের মাংশাশী নিশাচর প্রাণি। এর ইংরেজী নাম- Asian palm civet. এর বৈজ্ঞানিক নাম- Paradoxurus hermaphroditus. এদের শরীর থেকে পোলাও এর মত সুগন্ধ বের হয়।

স্থানীয় ভাষায় প্রাণিটিকে “মনুহাড়ি”, “বাঘা শাইল্যা”, “খাটাশ”, “ভোন্দর”, “নোঙ্গর” ইত্যাদি বলে ডাকে।

প্রাণিটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, তেলিপাড়া গ্রামের মোঃ ইয়াসিন আলী, পিতাঃ মৃত. আমির উদ্দিন। মোঃ সাজেদুল উসলাম, পিতাঃ মোঃ নুর আলম। মোঃ সুজন সরকার, পিতাঃ মোঃ সেকেন্দার আলী।

প্রাণিটির বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর ইসলাম জানায়, বাচ্চারা প্রাণিটির কোমরে রশি বেঁধে কোমর বিকল করে দিয়েছে এবং চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেছি। সুস্থ্য হলে প্রাণিটিকে জঙ্গলে অবমুক্ত করে দেওয়া হবে।