রাজারহাটের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো নিভৃতে কাঁদে

রাজারহাটের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো নিভৃতে কাঁদে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বেশিরভাগ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। অত্র অঞ্চলের একটি প্রবাদ আছে গুয়া পানে রংপুর ( পান সুপারিতে)। রংপুর অঞ্চলে এই মৌসুমে( বিশেষ করে ফাল্গুন, চৈত্র মাসে) ব্যাপক পান, সুপারি,আলু, মিষ্টি কুমড়ো,বেগুন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, রসুনসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি উৎপাদন হয় ।

সেই উৎপাদিত জিনিসগুলো বিক্রি করে মধ্যবিত্ত পরিবাগুলো একদিকে যেমন শ্রমিকদের মজুরি দেয় অন্যদিকে চলে নিজের সংসারের খরচ।

গত কয়েকদিনে করোনা ভাইরাস সংক্রমন বিস্তার প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনায় জনসমাগম বন্ধসহ গণপরিবহন বন্ধের কারণে তাদের উৎপাদিত এসব সবজিগুলো দুর- দুরান্তর থেকে পাইকার না আসায় কেবল মাত্র স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ উঠছে না অন্যদিকে চাহিদাও খুব কম তাই বাধ্য হয়ে পচনশীল এসব কাঁচামাল বিক্রি করতে হচ্ছে পানির দরে স্থানীয় বাজারে ।

এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। অত্র উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে। তাদের প্রধান আয়ের উৎস্য হচ্ছে উৎপাদিত এসব তরিতরকারি।

সরেজমিন ঘুরে একাধিক মধ্যবিত্ত পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় রবি মৌসুমের আবাদ করা ফসলের আয়ের টাকা সঞ্চয় করে আমরা সারা বছর সংসার খরচ চালাই। এই পরিস্থিতিতে ফসলের ভালো দাম না হওয়ায় সামনের দিনগুলো পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে চলবো সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।

সামনে আবার রমজান মাস। যারা নিম্ন আয়ের মানুষ সরকার তাদের অনেক ভাবে খাদ্য সহযোগিতা করছে। কিন্তু আমরা মধ্যবিত্ত হওয়ায় না পারি চেয়ারম্যান – মেম্বাদের কাছে রিলিফ নিতে না পারছি নিজের টাকায় সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে তিলে তিলে গড়া সঞ্চয়ে হাত দিতে হচ্ছে। তাদের কন্ঠে সামনের দিনগুলো খুবই অন্ধকার। এ পরিস্হিতি বেশিদিন থাকলে হয়তোবা লজ্জা- শরম বাদ দিয়ে তাদেরও দাঁড়াতে হবে রিলিফের লাইনে।