রাজারহাটে ১২০ বছরের জোবেদ আলী চশমা ছাড়াই পত্রিকা-বই পড়েন

রাজারহাটে ১২০ বছরের জোবেদ আলী চশমা ছাড়াই পত্রিকা-বই পড়েন

রাজারহাট প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে জোবেদ আলী নামের এক বৃদ্ধ ১২০ বছরে পা দিলেও চশমা ছাড়াই এখনো খালি চোখে স্বাভাবিকভাবে পত্রিকা-বই পড়াসহ সব ধরনের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

যে বয়সে তার শেষ সম্বল লাঠি হাতে নিয়ে চলা ফেরা করার কথা ঠিক সেই সময়ে সে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করায় এলাকায় মানুষের কাছে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। বার্ধক্য এখনো তাকে হার মানাতে পারেনি। বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি তার কাজকর্মে। তিনি কোন কাজে মনোনিবেশ করলেই আশ-পাশের মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ভীড় করেন। এমনই এই সাদামনের মানুষটির নাম মোঃ জোবেদ আলী। তার জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর হলেও তার বয়স হয়তো আারো বেশী হবে।

তিনি উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর পুত্র। তাঁর স্ত্রী ফয়জুন নেছা(৮৭), ৩ পুত্র ও ৪কন্যা, নাতি-নাতিনী সহ অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব ও গুনগ্রাহী রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মোর ঠিক বয়স মনে নাই, তবে আইডি কাডত যা আছে তার চেয়ে বেশী হইবে। ছোট বেলা থেকে যুবক বয়সে তিনি নিজের দিঘীর মাছ-মাংস, দুধ- ডিম, আবাদি বিতরী ধানের ভাত, খাঁটি ঘি, সরিষার তৈল, রাসায়নিক সার বিহীন শাক-সবজি নিয়মিত খেতেন।

এই বয়সেও এসে তাঁর ছোট-খাট জ্বর-সর্দি ছাড়া বড় ধরনের কোন রোগ ব্যাধি হয় নাই। শরীর এখনও তাঁর ভাল আছে। তিনি একশ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তাই তিনি নিয়মিত পবিত্র কুরআন-মাজিদ, পত্রিকা ও বই পড়তে পারেন। রাতে তিনি কুপিবাতি জ্বালিয়ে পবিত্র কুরআন-মাজিদ পড়েন। তিনি আরো বলেন, কোনদিন ফজরের নামাজ আমি ক্বাজা করি নাই এবং ফজরের নামাজের পর কুরআন তিলোয়াত করি। তাই হয়তো আল্লাহ্ পাক আমাকে সুস্থ্য রেখেছেন। এজন্য মহান আল্লাহ্ পাকের নিকট লাখো শুকরিয়া আদায় করছি।

এছাড়া পত্রিকা পড়াই তার এখন প্রধান নেশা বলে তিনি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শমশের আলী বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই জোবেদ জ্যাঠোকে এই অবস্থায় দেখে আসছি। এখনো তিনি আগের মতোই চলাফেরা করছেন।