তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে রাজারহাটের ২০টি বাড়ি বিলীন

তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে রাজারহাটের ২০টি বাড়ি বিলীন

তিস্তা নদীর ভাঙনে কুড়িগ্রাম রাজারহাটের চতুরা কালির মেলা গ্রামের ২০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক পরিবার। হুমকীর মুখে রয়েছে আরো ৫শতাধিক পরিবার।

গত কয়েকদিনে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা কালির মেলা গ্রামের সিদ্দীকুল ইসলাম (৩০), মোতালেব মিয়া (২৫), আমিনুর রহমান (৫০), আনোয়ার হোসেন (৪৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৫), তোফাজ্জল হোসেন (৪০), জিন্নাত (৫০), রইমুদ্দিন (৪০), রহমত আলী (৫৫), সুকুমার রায় (৩০), নিবারণ রায় (৪৫), প্রদীপ রায় (৪০), নিবাস রায় ( ৩৫), উপেন চৌকিদার (৫০), বিনদ (৫০), সুবাস (৫০), বানেশ্বর (৪০), মানিক (৪৫), নরেন (৬০), কৃষ্ণ কুমার (৪৫), নবীন (৫০), বাড়ী-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

বর্তমানে ওই গৃহহারা পরিবারগুলো অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনে প্রায় ৫/৭ একর ফসলি জমিও বিলীন হয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো জানান। হুমকীর মুখে রয়েছে পাড়মৌলা, তৈয়বখাঁ, ডাংরারহাট, গাবুর হেলান গ্রামের ৫শতাধিক পরিবার। তারা চরম উৎকন্ঠায় দিনযাপন করছেন।

এদিকে শনিবার খবর পেয়ে তিস্তা নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব পনির উদ্দিন ও রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ মাহফুজার রহমান, উত্তরাঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী যতি প্রসাদ ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম। তারা নদী ড্রেজিং করে ভাঙ্গন রোধ করার আশ্বাস দেন। বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ তাইজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভাঙনের শিকার গৃহহারা পরিবারগুলোর জন্য সাহায্য চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

সূএ: হামার কুড়িগ্রাম।