রাজারহাট ও ইউএনও মুহ. রাশেদুল হক প্রধান

উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের একটি উপজেলা রাজারহাট। নানান রঙে সুসজ্জিত পরিচ্ছন্ন রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চত্বর যে কারোর মনোযোগ আর্কষনের মতো। অথচ কিছুদিন আগেও রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চত্বর এমন ছিল না।

রঙচটা পুরোনো ভবন গুলোতে দাপ্তরিক কাজের জন্য মানুষের যাতায়াত থাকলেও তাতে নজর পড়ার মতো তেমন কিছুই ছিল না। কিন্তু এর অবস্থা আজ বদলে গিয়েছে। এই বদলে যাওয়ার পেছনে যে মানুষটির অবদান তিনি হলেন রাজারহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মুহ. রাশেদুল হক প্রধান। শিশুদের অবসর যাপনের এবং বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো শিশুপার্ক। পুরো রাজারহাট উপজেলা মিলে শিক্ষা অফিস সংলগ্ন একটি মাত্র শিশুপার্ক থাকলেও এতদিন অযত্ন আর অবহেলায় জীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল এটি।

ইউএনও’র যথাযথ পদক্ষেপ এই শিশুপার্কটির উচ্ছল প্রাণ এনে দিয়েছে। শুধু শিশুরাই নয় সহজেই যেকোন বয়সের মানুষের আকর্ষন সৃষ্টি করে এখন দৃষ্টি নন্দন এই পার্কটি। শিক্ষানুরাগী এই মানুষটির শিক্ষাবান্ধব রাজারহাট গড়ে তোলার জন্য গৃহিত পদক্ষেপ গুলোও অসাধারন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে দুর্নীতি রুখতে, সময়মত শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা সহ আরও অনেক নিয়ম শৃঙ্খলার ব্যাপারে ওনার কঠোরতা সত্যিই প্রশংসনীয়।

রাজাহাটের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিদ্যাপীঠ ‘রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়” রাজারহাটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত শিক্ষার্থী সেখানে আসে পড়াশুনা করার জন্য। সম্প্রতি এই এতগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে এই বিদ্যালয়ে নির্মান করা হয়েছে অত্যাধুনিক মানের ‘আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দ্দী অডিটরিয়াম’। এখানেও রাজারহাট উপজেলা প্রশাসন তথা ইউএনও রাশেদুল হক প্রধানের রয়েছে অসামান্য অবদান। মুহ. রাশেদুল হক প্রধান রাজারহাটে এসেছেন তা প্রায় বছর দেড়েক বা তার কিছু বেশী হবে হয়তো। কিন্তু এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি রাজারহাটের উন্নয়নের জন্য যা যা করেছেন সেগুলো অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। শিক্ষা, খেলাধুলা সর্বোপরি রাজারহাটের সর্বপ্রকার উন্নয়নের জন্য এই মানুষটির অবদান এখানে বলে বা লিখে শেষ করা হয়তো সম্ভব না। উপরের কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।

বলা যেতেই পারে, তিনি সরকারি কর্মকর্তা। এগুলো তিনি তার প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকেই করেছেন। হ্যাঁ, কথাটি সত্যিও বটে। তবে দায়িত্ব তো কমবেশি সবারই থাকে, সবাই পালনও করে। কিন্তু কে কতটা আন্তরিকতার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করে পার্থক্যটা সেখানে। আর ইউএনও রাশেদুল হক প্রধান তার কাজের প্রতি, রাজারহাটের প্রতি যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তাতে এই মানুষটির প্রতি রাজারহাট বাসী কৃতজ্ঞ। সম্প্রতি নওগাঁ জেলায় এডিসি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সম্ভবত রাজারহাট থেকে চলেও যাবেন তিনি। এই পদোন্নতিকে আমরা স্বাগত জানাই। সেই সাথে ওনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা কামনা করছি এবং পরবর্তী জীবনে স্যারের উত্তোরত্তর সফলতা কামনা করছি।

___সৌজন্যে, রাজারহাট বিডি ডট কম