রাজারহাটে ব্যবসায়ীদের হরতাল

রাজারহাটে ব্যবসায়ীদের হরতাল

।।নিউজ ডেস্ক।।

গতকাল (২২ জানুয়ারী) কুড়িগ্রামের রাজারহাট সদর বাজারে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত করেছে।

জানা যায়, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিষয়ে কুড়িগ্রাম পাট উন্নয়ন সহকারী মুখ্য পরিদর্শকের কার্যালয়ের সহকারী কর্মকর্তা মোছাঃ রওশন আরা বেগমের উদ্যোগে রাজারহাট সদর বাজারে গত মঙ্গলবার বিকালে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিমের নেতৃত্বে চাল বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৩ জন ব্যবসায়ীর দোকানে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল রাখার অপরাধে প্রতিজনের ১ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় কিছু ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় বাধা প্রদান করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরদিন ২০শে জানুয়ারি কুড়িগ্রাম পাট উন্নয়ন সহকারী কর্মকর্তা মোছাঃ রওশন আরা বেগম বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে চাল ব্যবসায়ী কমল চন্দ্র মহন্ত (৪০), পুতুল রায় (৪৫) ও আবুল কালাম (৫০)সহ অজ্ঞাতনামীয়র বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৩, তারিখ ২০/০১/২০২১ইং।

এরই প্রেক্ষিতে ২১শে জানুয়ারি রাতে উপজেলা সদর বণিক সমিতির এক জরুরি সভায় গতকাল সকাল-সন্ধ্যা দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গতকাল ব্যবসায়ীরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজারহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন প্রদর্শন করে সকাল-সন্ধ্যা দোকানপাট বন্ধ রেখে হরতাল পালন করেন।রাজারহাট চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে ভারতীয় এলসিতে নিয়ে আসা প্লাস্টিকের চালের বস্তা ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়। এরপরও ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা সদর বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ আমজাদ হোসেন বলেন, কিছু উৎসুক মানুষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

তাই ২০শে জানুয়ারি সকাল ১১টায় রাজারহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও অপরাধী ব্যবসায়ীসহ ২০ জন ব্যবসায়ী ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে। এরপরও তিনি ওই দিন রাতেই মামলা দায়ের করেন।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় চালের দোকানে দেশীয় চালের প্লাস্টিকের বস্তা রাখার অপরাধে ৩ জনের জরিমানা আদায় করে সতর্ক করে দেয়া হয়।

তাৎক্ষণিক অন্য ব্যবসায়ীরা আদালতকে পরিচালনায় বাধা প্রদান করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি।

উল্লেখ্য আজও দ্বিতীয় দিনের মতো দুপুর ২ টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যহত থাকবে।দাবি আদায় না হলে সামনে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সূত্র: মানবজমিন