‘সাব-রেজিস্টার নুর মোহাম্মদ শাহ্’কে খুন করে অধীনস্ত পিয়নরাই

‘সাব-রেজিস্টার নুর মোহাম্মদ শাহ্’কে  খুন করে অধীনস্ত পিয়নরাই

নিউজ ডেস্কঃ
সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় ক্ষোভ থেকে কুষ্টিয়ায় সদর উপজেলা সাব-রেজিস্টার নুর মোহাম্মদ শাহকে খুন করে অধীনস্ত পিয়নরাই। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন— নুর মোহাম্মদের পিয়ন ফারুক, রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশ সাইদুল, মিরপুর সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের পিয়ন কামাল ও বাবুল নামের অপর এক ব্যাক্তি। এছাড়া আরো কয়েকজন ব্যাক্তি এ ঘটনার সাথে জড়িত আছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় ক্ষোভ ছিল তাদের মধ্যে। এছাড়া নুর মোহাম্মদ কুষ্টিয়া থাকলে তাদের সব আয়ও বন্ধ হয়ে যাবে, এসব ক্ষোভ থেকে তারা নুর মোহাম্মদকে খুন করতে ওই ফ্লাটে যায়। এরপর হাত-পাঁ বেঁধে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় খুনিরা।

পুলিশ সুপার বলেন, এসময় আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে। এ জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।

পুলিশ সুপার জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হত্যার ৪দিন পর শনিবার দিনগত রাতে শহরের হাউজিং থেকে জড়িত কামালকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্য মতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ফারুক, সাইদুল ও বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসপি বলেন, তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আরো তথ্য জানার জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশি, গামছাসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার নুরানী ফেরদৌস, গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সাব্বিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, ৮ অক্টোবর শহরের ভাড়া বাসায় খুন হন সদর উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার নুর মোহাম্মদ। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন।
নিহত নুর মোহাম্মদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার মৌলা গ্রামে।
সুত্রঃ পরিবর্তন. কম